ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এবং ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৪ - ২০২৫

ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং


সূচীপত্রঃফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং । প্রতিদিন কত মানুষ বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে দেশ হতে দেশান্তর হচ্ছে। কেউ ব্যবসায়িক ভিসা, কেউ স্টুডেন্ট ভিসা আবার কেউ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবার কেউ ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে। অনেকের স্বপ্ন থাকে যে বিদেশ গিয়ে পড়ালেখা করার জন্যে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিবে ।

 তেমন করে ফিনল্যান্ড যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করার নিমিত্তে আজকের এই নিবন্ধন। ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এবং ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত, ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এবং ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৪ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল থাকছে। সঙ্গেই থাকুন । 

ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত


ফিনল্যান্ড হচ্ছে স্বপ্নের দেশ এবং উন্নত দেশ। উন্নত দেশ হওয়ার কারণ আমাদের দেশের তুলনায় এই দেশগুলির সভ্যতা এবং চেতনা অনেক উন্নত মূল বিষয় হচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে তার অনেক এগিয়ে। তাই এই ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত সেই সম্পর্কে জানার বাসনা করেছেন অনেকে।


তবে এই কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্যে 

 মনস্থির করা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । মনে রাখতে হবে সেই বিষয়ে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া একটি ব্যায়বহুল তার জন্যে খরচের পরিকল্পনা করাও বাঞ্চনীয় । 


ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হবে এবং যার ফি খরচ প্রায় ৩৫০ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার সমান। ও হ্যা এই ফি আবার তাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতেও পারে। 


এরপর স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার আগে যেকোন শিক্ষার্থীর সেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। তবে সেই দেশের একেক বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ভর্তি ফি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।


বিশেষ করে ভর্তি ফি ১০০ ইউরো থেকে ৪০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ১৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্বাস্থ্য বীমারপ্রমান দেখতে হবে। স্বাস্থ্য বীমার খরচ পড়ে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।  


এছাড়াও ফিনল্যান্ডে থাকতে গেলে আবাসন, খাদ্য ও অন্যান্য খরচ বাবদ কিছু খরচের প্রয়োজন পড়ে। সেই হিসেবে প্রায় একজন মানুষের ৫৬০ ইউরো বা বাংলা টাকায় ৭৪ হাজার টাকার মত। 


এবার এর সাথে অন্যান্য সব খরচ মিলিয়ে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসার খরচ পড়বে প্রায় ৪ হতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশি টাকায়। তবে স্কলারশীপ নিয়ে কেউ যদি ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় যায় তাহলে তার খরচ কিছু কমিয়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা


ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো অনেক ভিসায় ফিনল্যান্ড যাওয়া যায়। যদিও আমাদের এই নিবন্ধ হচ্ছে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং নিয়ে। সর্বোপরি আমরা ফিনল্যান্ডের ভিসা নিয়েই কথা বলছি। 


তাই চলুন তাহলে ফিনল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এগিয়ে যায়।ফিনল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্যে আপনার আগে যেকোনো একটি কাজের ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। 


যেকোন কাজের জন্যে আপনার আবেদন করার জন্যে সরকারি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে বা বিএমইটি এর মাধ্যমে ও আবেদন করতে পারেবন। তাছাড়াও বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।


তবে মনে রাখতে হবে এজেন্সির মাধ্যমে যদি যেতে চান বা ফিনল্যান্ড যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তাহলে খরচ একটু বেশি হতে পারে। এই মাধ্যমগুলির দ্বারা যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ঠিক হয়ে যায় তাহলে আপনার সব মিলিয়ে খরচ হতে পারে ১৩ লক্ষ টাকা থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। 


এই টাকা যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করেন তার জন্যে।  আর যদি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে আরো অনেক টাকা কম দিয়ে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে ফিনল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। 

ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং


ফিনল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই সহজে ফিনল্যান্ডে যাওয়া যায় না তার জন্যে অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়। কারণ ফিনল্যান্ডে যেতে হলে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং গুলি যতা যত ভাবে পালন করতে হবে। আমরা ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং গুলি কি কি সেগুলি একটু জেনে আসি চলুন। 


  • ফিনল্যান্ডের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যে আপনার পছন্দ মত একটি কোর্স নির্বাচন করতে হবে। 

  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আপনার পছন্দের কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্যে আবেদন করুন। 

  • আবেদন পত্র গ্রহণ হয়ে গেলে বা ভর্তি হয়ে গেলে এবার নিশ্চিত হওয়ার পত্রটি গ্রহণ করে সংগ্রহ করুন কারণ এটি ভিসার জন্যে আবেদন করার সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

  • ফিনল্যান্ডের অভিবাসন পরিষেবা (Migri) ওয়েবসাইট থেকে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন এবং পূরণ করুন।

  • এরপর ডকুমেন্টস গুলি প্রস্তূত করুন যেমন

  1. অন্তত ৬ মাস মেয়াদ আছে এইরকম একটি বৈধ পাসপোর্ট কপি

  2. ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র 

  3. স্বাস্থ্যবীমার প্রমান

  4. ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমান

  5. স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ 

  6. সদ্য তুলা ছবি 

  •  ভিসার ফি পরিশোধ করুন ৩৫০ ইউরো বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৭ হাজার টাকা । 

  • বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে গিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সাক্ষাৎকার করুন। তবে মনে রাখতে হবে আপনার সকল ডকুমেন্ট গুলি যেন সাথে থাকে। 

  • ভিসার জন্যে অপেক্ষা করুন যদি আপনার আবেদন সম্পূর্ণ রূপে জমা হয়ে যায় কোন প্রকার ত্রুটি ছাড়াই। এক্ষত্রে ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। 

  • ভিসা প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করুন এবং ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং শেষ পর্বে যাওয়ার জন্যে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন। 

ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা


কতমানুষ ফিনল্যান্ডে যাওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে আছেন কেউ বা স্টুডেন্ট ভিসা, কেউ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কেউ ব্যবসায়িক ভাবে। এতমানুষ কেন দেশ হতে দেশান্তরিত হচ্ছে। এই একটি মাত্র কারণ তা হলো টাকা। 


অর্থ উপার্জনের কারণে মানুষ এক দেশ হতে আরেক দেশে পাড়ি দেয়। সবার মধ্যে একটি ধারণা সেটি হচ্ছে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হাওয়া। কিন্তু একবার কি চিন্তা করেছেন কিভাবে স্বাবলম্বী হবেন ? 


কারণ আমাদের দেশের, মানে বাংলাদেশের টাকার মান ফিনল্যান্ডের টাকার মানের চেয়ে কম। অর্থাৎ ফিনল্যান্ডের মাথাপিছু যায় বাংলাদেশের চেয়ে মাথাপিছু আয়ের চেয়ে বেশি। এই ক্ষেত্রে অনেকের চিন্তা থাকতে পারে যে ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ? 


ফিনল্যান্ডের দেশের টাকার বা মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো। কারন ফিনল্যান্ড যেহেতু ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। তাহলে ফিনল্যান্ডের ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের ১৩১ টাকা ৯০ পয়সা। কারণ এখানে ফিনল্যান্ডের ১ টাকা কে ইউরো হিসেবে গণনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ফিনল্যান্ডের ১ ইউরো = বাংলাদেশের ১৩১ টাকা ৯০ পয়সা। 


ফিনল্যান্ডের টাকার মান এতো বেশি হওয়ার কারণে আমাদের দেশ হতে মানুষেরা ফিনল্যান্ডে গিয়ে উপার্জন করার জন্যে সুযোগ পেয়ে থাকেন । যা আমাদের বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে  দৈনিক ইনকাম অনেক বেশি। সারাবিশ্বের জিডিপিতে ফিনল্যান্ডের বর্তমান অবস্থান ১৪ নাম্বারে। 

ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৪ - ২০২৫


ফিনল্যান্ডে কাজের ভিসা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে অনেক। তাছাড়াও ফিনল্যান্ডের সুন্দর্য এবং উন্নত জীবন যাপন খুবই আকর্ষণীয়। আন্তর্জাতিক কর্মীদের জন্যে ফিনল্যান্ড কাজের ভিসার অনেক রকম সুযোগ সুবিধা আসছে ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের জন্যে। 


২০২৪-২০২৫ সালের জন্যে সারা বিশ্বের দক্ষ এবং প্রতিভাবান কর্মীদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে। তাদের দেশের জন্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্বাস্থ্যখাতের জন্যে সারা বিশ্ব থেকে মানুষদের নিয়োগের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করছে। 


তাই ২০২৪-২৫ সালে ফিনল্যান্ডে আসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা কিছুটা সহজ করেছেন যা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ভিসা প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। তবে ফিনল্যান্ড কাজের জন্যে আসতে চাইলে যেকোন প্রার্থীদের একটি চাকরির অফার থাকতে হবে এবং প্রমান থাকতে হবে সেই প্রার্থীকে ফিনল্যান্ড সরকারের  বা ফিনল্যান্ডের কোন কোম্পানির প্রয়োজন। 


আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা যায় এবং এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট যেমন, পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সনদ, প্রদান করতে হয়।ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা ২০২৪-২০২৫ সালে খুবই সহজ এবং প্রয়োজনীয় হতে চলেছে। 

ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং নিয়ে লেখকের শেষ কথা


ইউরোপের দেশ হলো আমাদের এশিয়াদের জন্যে স্বপ্নের দেশ। আর এই দেশে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সহজে যাওয়া যাচ্ছে। তাই আমরাও কিভাবে, কি পরিকল্পনার মাধ্যমে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করবেন তা নিয়ে অনেক্ষন ধরে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন মাধ্যম তুলে ধরেছি। আশা করি আপনার যাত্রা শুভ হবে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন । 


ফিনল্যান্ডে পড়াশোনার বিস্তারিত

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪