ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় | Stick With Vitamin E Capsules

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়


সূচীপত্রঃভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় । সুন্দর্য মানুষের জীবনে অমূল্য সম্পদ যা কখনো কাউকে ভাগ দেওয়া যায় না। সুন্দর হতে কে না চাই। কিন্তু দেখবেন সুন্দর্য হানি হয়ে যাচ্ছে অনেকের চেহারার মধ্যে বিভিন্ন রকম দাগ ছাপ এবং ব্রণের জন্যে। তাই আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। 

এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে ভিবিন্ন রকম কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবো যেমন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম, চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কতদিন খেতে হয়।  


আরো থাকছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম, চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়। মোট কথা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নানা রকম সমস্যা সমাধানের কথাই বলার চেষ্টা থাকবে।  

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম


ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে এতো কথা কেন বলছি ? ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে কথা বললেও আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে একটু জেনে আসি। ভিটামিন ই ক্যাপসুল হলো শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ক্যাপসুল যা ত্বক ও চুলের জন্যে বহুল ব্যবহৃত একটি ঔষধ। 


এটি শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই সহযোগিতা করে তাই মানুষ ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে জানার আগ্রহ করেন। তবে একটি কথা না বললেই নই, যেমন ভিটামিন ই ক্যাপসুল সঠিক উপায়ে যদি ব্যবহার করতে না জানেন তাহলে স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন এবার জেনে আসি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। 


শুরুতেই ভালো করে মুখ পরিষ্কার করুন এরপর। ভালো মানের একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন যাতে করে মুখের সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। 

এবার আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল টি কেটে সেখান থেকে তেলটি বের করে নিন   এবং এটি মুখে নির্ভয়ে লাগাতে পারেন। 


এটি বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্যে বেশি কার্যকর। তাই মুখের ত্বকে আলতোভাবে মালিশ করুন। কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্যে এই তেল রাখতে হয় । 


তবে সারা রাতের জন্যে রাখলে আরো বেশি উপকৃত হবেন। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের কালো দাগের জন্যে, ব্রনের জন্যে এবং চেহারার বলি রেখা দূর করার ক্ষেত্রে বেশি সহায়তা করে।  


বিশেষ করে যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে একটু সাবধানতার সাথে ব্যবহার করবেন অল্প করে। বেশি ব্যবহার করলে ব্রণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন ই ক্যাপসুল


ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে কথা বললেও কিন্তু ভিটামিন ই চুলের উপর ও খুবই গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করে। হ্যা সত্যি বলতে কি অনেকই চুল পড়া বন্ধ করার জন্যেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকে।চুলের জন্যে এন্টি অক্সিডেন্ট অত্যন্ত জরুরি যা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মধ্যে বিদ্যমান। 


কারণ ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে খুবই উপকারী। তাছাড়াও মাথার ফলিকলের খুবই সহায়তা করে এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্যে খুব বন্ধু প্রবর। তাই চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করবেন


আপনাকে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে সেটিকে কেটে তেলগুলি বের করুন এবং সেই তেলগুলিকে নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েলের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন তবে আগে ভালো করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। 


যেন রক্তসঞ্চালন ভাল করে পরিচালনা হয়। এইভাবে ম্যাসাজ করার পর অন্তত ৪০ মিনিট রেখে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে আপনি চাইলে ২ বা ৩ বার লাগাতে পারেন। এতে করে চুল পড়া রোধ হবে এবং চুল মজবুত হয়ে উঠবে। 


চুলে ব্যবহারের জন্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নিয়মের সাথে উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। যেমন এটি চুল গজাতে সহায়তা করে এবং সাথে চুল পড়ার জন্যেও খুবই উপকারী। এছাড়াও চুলের শুষ্কতা কমিয়ে আনে এবং আর্দ্রতা ধরে রেখে চুলকে ঘন করে তুলে। 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল কতদিন খেতে হয়


ভিটামিন ই ক্যাপসুল এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরে উন্নতি সাধন করে। মানব শরীরের কোষগুলির ক্ষতি রোধে অধিক সহায়ক একটি উপাদান এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এটি মানুষের ত্বক, চুল এমনকি হৃদযন্ত্র সহ মানবশরীরের বিভিন্ন রকম উপকার করে থাকে। 


তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কতদিন খেতে হয় এটি নির্ভর করবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শের উপর। কারণ তিনি আপনার শরীরিক অবস্থার প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রয়োগ করার সিদ্বান্ত দেবেন। 


তবে সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্যে  ১৫ ml (মিলিগ্রাম) তাও আবার ১ থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত। এর চেয়ে যদি বেশি খান তাহলে বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করার চিন্তা মাথায় রাখেন তাহলে একজন ভালো চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে খেতে পারেন।


 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেশি সেবন করলে ভিটামিন ই আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। যেমন বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং ডায়রিয়ার মত ঝামেলা গুলি দেখা দিতে পারে। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম


ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখের বলিরেখা ও কালো দাগ দূর করতে খুবই উস্তাদ। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন্ রয়েছে যা আপনার ত্বকের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে।


তাই আপনি চাইলে ঘরে বসেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরী করতে পারেন । যা মনের মত করে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ এটি আপনার ত্বককে ভালোভাবে পুষ্টির যোগান দেবে এবং নরম, মসৃন এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেবে।


তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানানোর নিয়ম গুলি আমাদের একটু জানার দরকার । ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আপনি চাইলে এই পদ্বতি ব্যবহার করতে পারেন ।  

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানানোর পদ্বতি ও ব্যবহার


উপকরণ


ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুটি এর সাথে লাগবে ১চা চমচ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চা চামচ কোকোনাট ওয়েল অথবা অলিভ অয়েল। 


তৈরির পদ্বতি ও ব্যবহার 


ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুটি কেটে তেলগুলি বের করুন এবং একটি পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এবার ওই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং কোকোনাট অয়েল বা অলিভ অয়েল একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তাহলে একটি ক্রিম তৈরি হয়ে গেল। 


এবার এই তেলটি রাত্রে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে মুখে আলতো করে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন। এটি সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন তাহলে সকাল বেলা আপনার চেহারার অনেক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম


ভিটামিন ই ক্যাপসুল মানুষের মাথার চুলকে মজবুজ এবং চুলপড়া থেকে রক্ষা করতে খুবই কার্যকরী। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়ার রক্ত সঞ্চালনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি চুলের শুষ্ক ও রুক্ষ চুলকে পুষ্টিবান করে তুলে। 


যেন তেন করে আপনি চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে চলবে না। আপনি যদি চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সঠিক পদ্বতিতে করতে জানেন তাহলে ভালো একটি ফলে পাবেন। 

ব্যবহার করার পদ্ধতি


দুটি ভিটামিন ক্যাপসুল নিয়ে তার থেকে তেলগুলিকে বের করুন এবং এক চা চামচ পরিমান নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ভালো করে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে ম্যাসেজ করুন যাতে করে তেল গভীরে প্রবেশ করে। তাহলে ভালো একটি ফল পাবেন। এই পদ্বতি অনুসরণ করে চললে চুলের সুন্দর্য দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং ঘন হবে। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে শেষ কথা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও ফর্সা হয় এবং চুল হয় ঘন ও স্বাস্থ্যকর। তবে সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ছিল আমাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে শেষ কথা। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। 


রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের সহজ ৭টি উপায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪