কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো এবং কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়
সূচীপত্রঃকোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো। শান্তি শব্দটি অত্যন্ত প্রাণের একটি ভাষা যা আহঃ উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। এই শান্তির জন্যে মানুষ দিক বেদিক ঘুরে বেড়াই। মানুষের মানসিক অবস্থা যখন একদম ভেঙে যায়, যখন খুব দুঃখে কাতর হয়ে যায়, তখন মনের গভীর থেকে আর্তনাদ একটি সেটি হচ্ছে কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো ।
এই মানসিক শান্তির বার্তা নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল সাজিয়েছি। কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, জীবনে মানসিক শান্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিচ্ছু নেই, মানসিক শান্তির ঔষধ, জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায় এবং পৃথিবীর কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এই নিয়ে গভীর আলোচনা হবে তাই সাথেই থাকবেন অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে আশা করি ।
মানসিক শান্তি কি
মানসিক শান্তি কি এবং কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো এই চিন্তা মানুষের মধ্যে সর্বদা থাকে । মানসিক শান্তি হলো মনের একটি স্থিতিরতার একটি অবস্থা। কারণ স্তিরতার অনেক কষ্টের মাধ্যমে পাওয়া যায়। হ্যা মানসিক শান্তি খুব সহজে পাওয়া যায় না। তার জন্যে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানার দরকার যা আপনাকে মানসিক শান্তি দান করবে।
শান্তি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সমান গুরুত্ব দেয় এবং আমাদের বিভিন্ন রকম জীবনের চাপ, সমস্যা, ও খারাপ চিন্তা হতে মুক্তি দিয়ে থাকে। মানসিক শান্তির মূল উপাদান হচ্ছে সব কিছু ভালো চিন্তা ভাবনা করা।
কখনো কারো খারাপ আচরণ কে নিজের মধ্যে চিন্তা না করা, অর্থাৎ এক কথায় অপরের অকল্যাণ চিন্তা না করা। নিজের উপর সর্বদা আত্মবিশ্বাস রাখা। তার সাথে যদি নিয়মিত মেডিটেশন এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ শরীর এবং মন কে সতেজ রাখা যায় তাহলে একেই বলে মানসিক শান্তি ।
মানসিক শান্তি বলতে মনের শান্তি কে বুঝানো হয়েছে। সেই শান্তি থাকে প্রত্যেকটা মানুষের মনের মধ্যে। তাই নিজের মনকে সর্বদা খুশি রাখা এবং সন্তষ্ট থাকায় শান্তি।
আনন্দদায়ক কাজ এবং নিকটজনদের সাথে সময় কাটানোও মানসিক শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। একাকিত্ব এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি।
কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়
অনেকে মনের দুঃখে চিন্তায় বিভোর হয়ে উঠে যে, কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো বা কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আমরা এই নিবন্ধে বলার চেষ্টা করছি সেই বিষয়গুলি যা মানুষকে সবসময় ভাবায় কাঁদায় এবং দুঃখে কাতর করে দেয়।
মানসিক শান্তি থাকে নিজের মধ্যে। ছোট্ট একটা গল্পের মাধ্যমে মানসিক শান্তির উপায়ের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করি তাহলে আপনাদের মনের অবস্থা শান্তিতে পরিপূর্ণ হবে বলে আশা।
কস্তুরী সম্পর্কে অনেক নাম শুনেছেন কিন্তু কেউ দেখে নাই। কস্তুরী অত্যন্ত দুর্লভ একটি জিনিস। এই কস্তুরী হরিনের নাভি ফেটে বের হয়। যখন একটি পুরুষ হরিণ হরিন নারী হরিনের সাথে দীর্ঘ অনেক বছর অর্থাৎ মিলন থেকে বিরত থাকে তখন হরিনের বীর্য শক্তিগুলি কস্তূরীতে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং নাভি ফেটে বের হয়ে আসে।
এই কস্তুরীর সুগন্ধে হরিণ পাগল হয়ে যায়। দিক বেদিকে ঘুরে শুধু সেই কস্তুরীর সুগন্ধ কোথা হতে আসছে সেই বিভোরে। পরক্ষনে শিকারির কাছে ধরা পড়ে মৃত্যু বরন করে। অথচ সেই কস্তুরী হরিনের মধ্যে বিদ্যমান সেই খবর হরিনের জানা নাই। কারণ কস্তুরী অত্যধিক মূল্যবান সম্পদ এবং এর অধিক স্বর্গীয় সুগন্ধ রয়েছে যা মানুষ খুব সহজে পাগল হয়ে উঠে।
এই গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম শান্তি আমার ভিতরে রয়েছে অথচ শান্তির জন্যে আমরা দেশ হতে দেশান্তর পর্যন্ত ঘুরে বেড়াই। শান্তি হলো সন্তুষ্টি। কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এখন সেই কথা গুলি একটু জেনে আসি।
- মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্যে প্রথমে সন্তুষ্টি থাকা খুবই জরুরি।
- লোভ অথবা লালসা থেকে নিজেকে সংযম রাখলে শান্তি অনায়াসে পাওয়া যায়।
- শান্তি পাওয়ার জন্যে নিজের চাওয়া পাওয়া ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।
- নিয়মিত মেডিটেশন করলেও মানসিক শান্তি পাওয়া যায় কারণ মেডিটেশন মানুষের মনের দুশ্চিন্তা দূর করে।
- প্রকৃতির মাজে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চিন্তা করুন প্রকৃতিকে ভালোবাসুন তাহলেও শান্তি পাওয়া যাবে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম যাওয়া বাঞ্চণীয়।
- সঠিক এবং সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন।
- পরিবারকে সময় দিন পরিবারের এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে নিজের কথা শেয়ার করুন তাদের কথাও আপনি শুনুন।
- বই পড়ুন , গান করুন, কবিতা পড়ুন এবং নিজের শখের কাজগুলি আনন্দে করুন তাহলেও অনেক শান্তি পাবেন।
- সময় পেলে নদী, সাগর কিংবা পাহাড়ে সময় কাটান।
জীবনে মানসিক শান্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিচ্ছু নেই
জগতে যা কিছু প্রপ্তি সব প্রাপ্তির সেরা প্রাপ্তি হলো শান্তি। যিনি এই শান্তি নামক অধরাকে ধরেছেন তিনি জানেন যে,জীবনে মানসিক শান্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিচ্ছু নেই।
পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ থেকে শুরুর করে পশুপাখী এমনকি ছোট্ট জীব পর্যন্ত শান্তির নেশায় ঘুরছেন। তবে একেক জনের শান্তি একেক রকম। সর্বদা শান্তির নেশায় সারা জগৎ মেতে আছে।
তবে এই শান্তি সহজে পাওয়া যায় না। শান্তি পাওয়ার জন্যে যতার্থ ত্যাগের মহিমাকে ধারণ করতে হবে। "সনাতন শাস্ত্রীয় শ্রীমদ্ভগবদ গীতায় বলা আছে ত্যাগের মাধ্যমে অমৃত শান্তি লাভ করা যায়।"
তাই জীবনে মানসিক শান্তি যার নেই তার কিছুই নেই। তবে অর্থ বিত্ত দিয়ে কখনো শান্তি কিনা বেচা যায় না। শান্তি ত্যাগের মাধ্যমে প্রাপ্ত হতে হয়। যার অনেক সম্পদ রয়েছে কিন্তু মানসিক শান্তি নেই তার জন্যে জগৎ অসার হয়ে যায়। তাই সেই ক্ষেত্রে বলাই যায় যে,জীবনে মানসিক শান্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিচ্ছু নেই।
মানসিক শান্তির ঔষধ
মানসিক শান্তির কোন ঔষধ এই জগতে এখন তৈরী হয় নি। তবে আগেই আলোচনা করেছি যে, শান্তি আপনি নিজে বহন করে নিয়ে চলছেন অথচ অপরকে জিজ্ঞেস করছেন ভাই শান্তি আছে আপনার কাছে ?
মানসিক শান্তির ঔষধ হচ্ছে সন্তুষ্টি। ছোট্ট বেলায় বাল্যশিক্ষায় পড়েছিলাম সন্তুষ পরম ধন। সন্তুষ মানে হলো সন্তুষ্টি। অর্থাৎ সর্বস্থায় আপনার যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকায় হচ্ছে মানসিক শান্তির ঔষধ।
এছাড়া জগতে এমন কোন ঔষধ কেউ তৈরি করে নি। তবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের মধ্যে সেই ঔষধ বিদ্যমান করে দিয়েছেন হরিনের মত। আমরা আমাদের মনের অন্ধত্বের কারণে দেখতে পাই না বা খুঁজে পাই না।
তবে ভালো মানুষের সাথে সঙ্গ করলে জীবনের আমূল পরিবর্তন এসে যায়। এমনকি নিজের শান্তি নিজে খুঁজে পাবেন একজন জ্ঞানী এবং বিনয়ী মানুষের সাথে সঙ্গ করেন।
তাছাড়াও যেমন আপনি মন্দির, মসজিদ বা পেগোডায় ও গির্জায় যেতে পারেন। ভালো মানুষের সাথে মেলামেশায় যখন জীবনের বাস্তবতার শিক্ষা লাভ করবেন তখন আপনি মানসিক শান্তির ঔষধ খুঁজে পাবেন এছাড়া নই ।
জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায়
মানসিক শান্তির জন্যে বেশি কিছু করতে হয় না বা কাউকে কোন টাকা ও দিতে হয় না। জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায় নিয়ে অনেকের জানার ইচ্ছা রয়েছে। আমরা আজেকে জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায় নিয়ে লিস্ট আকারে বলার চেষ্টা করবো।
- জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায় হিসেবে মেডিটেশন করার অভ্যাস করুন প্রতিদিন।
- প্রকৃতির সঙ্গে সময় দিন, প্রকৃতিকে অনুভব করুন।
- নিয়মিত সকাল অথবা বিকালে ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
- নির্দিষ্ট পরিমান ঘুম যান।
- চঞ্চলতা পরিহার করুন।
- ওপরের দোষ দেখা পরিহার করুন।
- সন্তুষ্ট থাকুন সর্বদা।
- কোন বিষয়ে বেশি উৎসাহিত হবে না।
- নিজের ভালো খারাপ পরিবারের আপন মানুষের সাথে ভাগাভাগি করুন।
- কেউ কিছু প্রাপ্তি হলে তাকে আনন্দ দিন এবং উৎসাহিত করুন।
- আপনার যা কিছু করতে ভালো লাগে সেই কাজটি মন থেকে করার চেষ্টা করুন।
- নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন।
- নিজেকে ভালোবাসুন।
পৃথিবীর কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়
সাধারণ মানুষের সংসারের এবং আপন জনের কাজ থেকে অনেক দুঃখ পেয়ে থাকে। মানুষের জীবনে যখন খুব দুঃখ এসে ভর করে অথবা হতাশা এসে বসে তখন পৃথিবীর কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এই শব্দটি ভেসে আসে ।
আবার আরেকটি কারণে এই কথাটি উচ্চারিত হয় তাদের জন্যে যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসে এবং দেশ চষে বেড়ানো যাদের শখ। মানসিক শান্তির জন্যে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়।
একটি কথা আমরা এই আর্টিকেলে বেশি বলার চেষ্টা করেছি সেটা হলো, শান্তি আপনার মনে বহন করে চলছেন কেউ আপনাকে আলাদা করে শান্তি দিতে পারবে না বা কোন দেশে সেই রকম শান্তি পাবেন না।
হ্যা তবে পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে গেলে আপনার চিন্তা দূর হয়ে যেতে পারে এবং আপনি শান্তি পেতে পারেন কিছুক্ষনের জন্যে বা কিছুদিনের জন্যে। তবে অনন্ত শান্তি পেতে হলে নিজেকে সেই শান্তির পথ অনুসরণ করে চলতে হবে।
মাঝের মধ্যে, শহরের কোলাহল ও প্রতিদিনের মানসিক চাপ থেকে দূরে সরে থাকা খুবই প্রয়োজন। আমাদের এই পৃথিবীতে বিশেষ কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে গেলে আপনি প্রকৃতির সান্নিধ্যে মানসিক শান্তি পেতে পারেন।
নেপালের অ্যানাপূর্না অঞ্চলে হাইকিং করতে পারেন। কারণ সেখানে ঘন বন, উঁচু পর্বত এবং স্বচ্ছ নদী আপনাকে নিঃশ্বাসহীন করে রাখবে।
জাপানের আরাশিয়ামা বাঁশের বনেও শান্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এই বনটির মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় চারপাশের নিস্তব্ধতা এবং বাঁশের পাতার ঝলমলে আওয়াজ আপনার মনকে প্রশান্তি দিবে।
ইন্দোনেশিয়ার উবুদও মানসিক শান্তির জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানে রয়েছে সবুজ রিরিজের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যা মনকে প্রফুল্ল ও সজাগ করে।
হিমালয়ের কোন এক শান্ত মঠে গিয়ে আত্ম-উন্নয়নের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো
শান্তি শান্তি শান্তি। এই মানসিক শান্তির জন্যে মানুষ অনেক কিছু করে থাকে। তারপরও চিন্তা থাকে যে কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো। অত্যন্ত বিষাদে যখন হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন ও এই ভাষা উচ্চারিত হয় মনের গভীরে যে, কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো।
কোথায় গেলে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন না। যেখানে যাবেন সেখানেই দুঃখ বা অশান্তি। শান্তি আপনি নিজে বহন করে চলছেন তাই শান্তি আপনার কাছে। তবে শান্তিকে ধরা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। অনন্ত শান্তি থাকতে চাইলে নিজেকে পরিবর্তন করুন।
মহৎমানুষ কিভাবে তাদের জীবনকে পরিচালিত করেছে তাদেরকে অনুসরণ করুন। তবে এখানে খুব বেশি বিত্ত্ববানকে অনুসরণ করতে যাবেন না কারণ তারা শান্তিতে নেই সুখে আছে। সেই সুখ খুব অল্প সময়ের জন্যে।
কারণ সুখ আর শান্তি এক নই অনেকটা তফাৎ রয়েছে। কোথায় গিয়ে আপনাকে শান্তি খুঁজতে হবে না। শুধু একটু দুশ্চিতা মুক্ত থাকার চিন্তা করবেন। প্রকৃতির সাথে থাকার চিন্তা করবেন এবং নিজেকে সব বলুন আপনি শান্তিতে আছি। সেটি খুব দুঃখের বেলায় ও।
তাহলে মানসিক শান্তি পাওয়ার অনেক ক্ষমতা আপনি অর্জন করে ফেলবেন। তাছাড়া কোথায় গিয়ে মানসিক শান্তি পাবার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। ভালো মানুষের সাথে সঙ্গ করুন যে আপনাকে প্রায় সময় উৎসাহিত করে আপনার দুঃখকে খুব গুরুত্ব দেয়।
কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো শেষ কথা
অনেক্ষন ধরে মানসিক শান্তি নিয়ে কথা বলেছি। কি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, জীবনে মানসিক শান্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিচ্ছু নেই, মানসিক শান্তির ঔষধ,জীবনে মানসিক শান্তি লাভের উপায় এবং কোথায় গেলে মানসিক শান্তি পাবো আরো অনেক কিছু এই মানসিক শান্তি নিয়ে চেষ্টা করেছি ধারণা দেওয়ার। নিজে সন্তুষ্ট থাকুন সর্ববস্থায় তাহলে আর অশান্তি আপনার মধ্যে প্রবেশ করবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url