বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি
সূচীপত্রঃবাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি । বাদ্যযন্ত্র প্রেমীদের জন্যে বাদ্যযন্ত্র হলো খুবই প্রয়োজনীয় একটি সরঞ্জাম। যা ছাড়া যন্ত্র শিক্ষা কঠিন একটি ব্যাপার। তবে বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে আগে জানা দরকার যেমন, বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি। বাতাস ছাড়া বাদ্যযন্ত্র কোনটি সেটিও জানা দরকার ।
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে জানার চেষ্টা করবো বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি এবং দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের নাম, বেহালা বাদ্যযন্ত্র, সানাই বাদ্যযন্ত্র, বাদ্যযন্ত্রের নাম ও ছবি এছাড়াও রয়েছে বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত। এই সব কিছু নিয়ে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো বন্ধুরা। এক কথায় বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আজকের এই আলোচনা ।
দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের নাম
আমাদের দেশীয় অনেক বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয় যা আমাদের শিল্পী সংস্কৃতি কে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রত্যেক দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের একটি ইতিহাস রয়েছে।
বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি যদিও আমরা এই কথার উপর ভিত্তি করে আলোচনায় এসেছি কিন্তু এর সাথে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের নাম ও ইতিহাস এবং গুন্ নিয়ে একটু আলোচনা করি।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। আমাদের দেশীয় বাদ্যযন্ত্র শুধু সঙ্গীত সৃষ্টি করে না, বরং আমাদের সংস্কৃতি এবং সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি।
দেশীয় বাদ্যযন্ত্র গুলি আমরা একটু তুলে ধরার চেষ্টা করছি যেমন,
সেটার
তবলা
বাঁশী
ডুগডুগি
ঢোল
একতারা
খোল
সেতার
বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র হলো 'সেতার', যা মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেতারের মৃদু সুর শুনলে মনে হয়, যেন মনের গভীর ভাবনাগুলো ভেসে উঠছে।
তবলা
তবলা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় তালবাদ্যযন্ত্র, যা সঙ্গীতের ছন্দ ও গতি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সঙ্গীতের জন্যে এক অনবদ্য বলে গণ্য করা হয়। বর্তমানে তবলার খুবই চাহিদা রয়েছে।
বাঁশী
বাঁশী ও একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র, যা সাধারণত গ্রামীণ পরিবেশে দেখা যায়। বাঁশীর সুর বায়ুর মধ্যে মিষ্টি সঙ্গীত সৃষ্টি করে, যা মানুষের মনে একটি শান্তির অনুভূতি এনে দেয়।
ডুগডুগি
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বাদ্যযন্ত্র হলো 'ডুগডুগি', যা বিভিন্ন উৎসবে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয় এবং লোকসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত।
দেশীয় বাদ্যযন্ত্রগুলো আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ এবং সেগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে জীবন্ত রাখতে পারি। তাই এগুলোকে রক্ষা করা এবং প্রচার করা আমাদের দায়িত্ব।
বেহালা বাদ্যযন্ত্র
বেহালা ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর। বেহালা কে অনেকে আবার ভায়োলিন হিসেবে ও চিনে থাকে। বেহালা র ইংরেজি নাম হলো ভায়োলিন। এটি খুবই জনপ্রিয় একটি বাদ্যযন্ত্র ।
তবে এটি বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র গুলির মধ্যে পড়ে না। এটি অত্যন্ত মাধুর্যপূর্ন চারটি তারের সমন্বয়ে তৈরী এক অতুলনীয় এবং মাধুর্য পূর্ণ সুরের সৃষ্টি করে যা মুহূর্তেই মানুষের মন হরণ করার মত ক্ষমতা রাখে।
এই বেহালা উৎপত্তি হলো পাশ্চাত্য দেশে বা ইউরোপে। ইউরোপের সংকৃতিতে এই বেহালা খুবই সুনাম অর্জন করেছে। তবে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ও খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং আধুনিক ও ক্লাসিক গান গুলিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।
রাগ সঙ্গীতের মধ্যে এই বেহালার সুর গভীর আবেগ এবং নম্রতার প্রকাশ ঘটায়। বেহালার সুর তৈরি করার জন্য এটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে বাজানো হয়, যেমন, ব bow দিয়ে বা হাত দিয়ে। এর অসাধারণ সুর এবং তালে একেকটি রাগে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
বেহালা সাধারণ শিখতে অনেক বছর লেগে যায়। তবে এই বেহালার শিক্ষক খুব গুণী শিক্ষক হয় এবং তারাই এই বেহালা কে অনেক যত্নের মাধ্যমে শিখিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের অনেক সঙ্গীতশিল্পী এই বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি অর্জন করেছেন। বিশেষ করে শাস্ত্রীয় এবং লোকসংগীতের ক্ষেত্রে তাদের অবদান অপরিসীম।
এই বাদ্যযন্ত্রের সুর মানুষের মনে আনন্দ এবং শূন্যতা অনুভব করায়। তাই বেহালা শুধু একটি বাদ্যযন্ত্র নয়, বরং সংস্কৃতির একটি অঙ্গ, যা আমাদের অনুভূতিকে আরও সমৃদ্ধ করে। এর সুরে মানুষের জীবন আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
সানাই বাদ্যযন্ত্র
বাংলাদেশের বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে সানাই একটি বিশেষ যন্ত্র যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে এই সানাইকেও বাতাস প্রবাহের মধ্যে রাখা যায়। কারণ এটি ফু দিয়ে অর্থাৎ বাতাস দিয়ে বাজানো হয়।
সানাই দেখতে ধুতরা ফুলের মত মুখে বাজানোর জায়গা অর্থায় উপরের দিকে চিকন হয়ে সামনের দিকে চওড়া। এটি রিড ইন্সট্রুমেন্ট যার মধ্যে একটি রিড থাকে। কাটের তৈরী এবং সামনের দিকে ধাতুর তৈরী ঘন্টার মতো থাকে এবং এটি খুব সুন্দর সুরের সৃষ্টি করে যা খুবই মোহনীয়।
লোকসংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত রয়েছে এই সানাই। সানাইয়ের মধুর সুর ও সঙ্গীতশৈলীর জন্যে এক অনন্য বৈচিত্রতা প্রদান করে যা মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করে।
সানাইয়ের সুরের মূর্ছনা সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। এটি সাধারণত হিন্দুদের বিয়েতে এবং পূজার মধ্যে বেশি বাজিয়ে থাকেন এই বাদ্যযন্ত্রের শিল্পীরা। তাছাড়াও অন্যান্য উৎসবেও এই সানাইয়ের বাজনা দেখা যায়।
বাংলাদেশে সানাইয়ের শুনাম খুবই বাড়ছে যে, আগামী জেনারেশনের সঙ্গীতশিল্পীরা সানাইকে আধুনিক সঙ্গীতের সাথে কম্বিনেশন করে সুন্দর্য বর্ধনের জন্যে চেষ্টা করছেন।
সানাইয়ের সুরে আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য জীবন্ত থাকে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা। সুতরাং, সানাই কেবল একটি বাদ্যযন্ত্র নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি চিহ্ন।
বাদ্যযন্ত্রের নাম ও ছবি
আমরা "বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি" এই কথার উপর ভিত্তি করে চলতে চলতে অনেক দূর চলে এসেছি। এই টপিকে আমরা জানবো বাদ্যযন্ত্রের নাম ও ছবি সম্পর্কে।
বাদ্যযন্ত্র আমাদের সংস্কৃতিক অঙ্গনের খুবই পরিচিত একটি অংশ। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ছাড়া সুর এবং তালের সমাহার একদম চিন্তা ও করা যায় না। তাই বাদ্যযন্ত্র হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ সঙ্গীতের জন্যে ।
এই বাদ্যযন্ত্রগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি আমাদের আনন্দ বাড়ায়। প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রের একটি নিজস্ব শৈলী ও সুর আছে, যা সঙ্গীতের জগতকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তোলে। এসব বাদ্যযন্ত্রের ছবি আমাদের সংস্কৃতির রূপকে জীবন্ত করে তোলে, এবং তাদের সৌন্দর্য আমাদের হৃদয়ে চিরকালীন স্থান করে নেয়।
বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত
ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম মতভেদ রয়েছে। এক শ্রেণীর ইসলামী চিন্তাবিদ ও পণ্ডিত মনে করেন এবং সাথে বিশ্বাস ও করেন যে, বাদ্যযন্ত্র ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ করে কোরানের আয়াত নাজিল করেছেন সৃষ্টিকর্তা। কারণ এই বাদ্যযন্ত্র শিরক ও মায়ার সৃষ্টি করতে পারে। এই সম্পর্কে বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত নিচে দেওয়া হলো।
একটি উল্লেখযোগ্য আয়াত হলো "وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللَّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ" (সুরা আল-বাকারা, ৮)। এই আয়াতে বলা হলো যে, কিছু মানুষ সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে, যা ক্ষতিকর হতে পারে।
অপরদিকে, আরেক শ্রেণীর ইসলাম পন্থীরা বাদ্যযন্ত্রকে সংস্কৃতির একটি অংশ হিসেবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন যে, এটি বিশেষ করে কিছু ভালো এবং শুদ্ধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলে, যেমন ইসলামী গান বা নাশিদে, তা গ্রহণযোগ্য। উদাহরণস্বরূপ, নবী মুহাম্মদ (স.)-এর কালে নানা রকম উৎসবে এবং আনন্দের মুহূর্তে বিভিন্ন রকম সঙ্গীতের আয়োজন ছিল।
এই তর্ক ও বিতর্কের দ্বারা সিদ্বান্ত উপনীত হাওয়া যায় যে, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ইসলামি সমাজে বিভিন্নভাবে বিবেচিত হয়। এটি প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংস্কৃতিক চর্চা নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত, এটি ব্যক্তির বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে।
বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি
বাদ্যযন্ত্র সঙ্গীত জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা ছাড়া সঙ্গীতের পরিপূর্ণতা পাই না। " বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি " এই কথার উপর নজর দিলে অনেক বাদ্যযন্ত্রের কথা বলা যায়।
বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র বাঁশী বা বংশী। যা বাতাসের প্রবাহ দিয়ে বাজানো হয়। এর মুখে ফু দিয়ে এর সুর বাজাতে হয়। তবে এর জন্যে যথেষ্ট দক্ষতার দরকার রয়েছে। এটি সাধারণত বাঁশ বা কাঠের তৈরি হয় এবং এর সহজ ডিজাইন সত্ত্বেও, এর সুরের গভীরতা এবং মাধুর্য অসাধারণ।
আবার হারমোনিয়াম ও হলো বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি। হারমোনিয়াম সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। এটি রিড দিয়ে তৈরি যা বাতাসের প্ৰবাহ দিয়ে বাজাতে হয়। হারমোনিয়াম যে কেউ বাজাতে পারেন কিন্তু কথা হলো ভালো দক্ষতা না থাকলে সুরের সাথে তালের মিল খুঁজে পাওয়া বড়োই কষ্টকর।
এরপর রয়েছে, সানাই। সানাই ও বাতাসের প্রবাহের মাধ্যমে বাজাতে হয়। এটিও রিড ইনফ্লুয়েন্সার বাদ্যযন্ত্র। আরো রয়েছে, করনেট, ক্লাইনেট,সেক্সফোন এবং মাউত অর্গান।
বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি এই নিয়ে শেষ বার্তা
বাংলাদেশের সংস্কৃত অঙ্গনে নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের আবির্ভাব দেখা যায় যা একজন কণ্ঠশিল্পীকে খুবই অনুপ্রাণিত করে এবং তার নিজস্ব ভাবে ডুবে থাকতে খুবই সহযোগিতা করে। বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি এই নিয়ে আমরা নানা দিক থেকে বলার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে এই বাদ্যযন্ত্রের আরো অনেক চাহিদা দেখা যাবে বলে যন্ত্রশিল্পীরা এবং কণ্ঠশিল্পীরা আশাবাদী।
এতক্ষন হয়ত জেনেই গেছেন বাতাসের প্রবাহ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র কোনটি তাই আর তেমন আগাতে চাই না কারণ আপনাদের দৈর্যের বিচ্যুতি ঘটবে তাই ভালো থাকবেন এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সঙ্গীত জীবনে এগিয়ে যান এই প্ৰত্যাশায় শেষ করছি ।
আমাদের কাছে হারমোনিয়াম বানানোর ঠিকানা
জননী হারমোনিয়াম=============================আপনার মনের মত করে এখানে নতুন হারমোনিয়াম অর্ডার নেওয়া হয় এবং পুরাতন হারমোনিয়াম মেরামত করা হয় ।বিঃ দ্রঃ সেকেন্ড হ্যান্ড হারমোনিয়াম অতি সূলভ মূল্যে বিক্রয় করা হয় ।
| বিশ্বস্ত হারমোনিয়াম ক্রয় বিক্রয়ের একটি মাধ্যম ।
পুরাতন চান্দগাঁও থানা , চান্দগাঁও, চট্টগ্রামমোবাইল নাম্বার ঃ ০১৮১-৫৬১৯৪৭২ , ০১৮১৯-৯৩৫৫০৩
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url