আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কি প্রয়োজন - America Tourist Visa Application
তাছাড়াও আরো থাকছে, আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং, আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে, আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ, আমেরিকার ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা, আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্যে কত টাকা লাগে, আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪, আমেরিকা ভিসা আবেদন ২০২৪, আমেরিকা ভিসার দাম কত এবং আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা এই সব নিয়ে কথা থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে ।
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
এই ফর্মে আপনার ভ্রমের উদ্যেশ্য এবং ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে অবস্বম্ভাবী। এছাড়া আরো অন্যান্য আনুষাঙ্গিক তথ্য চেয়ে থাকে সময় উপযোগী এবং ভ্রমণের উপর নির্ভর করে।
এই ফর্ম জমা দেওয়ার পর আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করা বাধ্যতামূলক কারণ এটি ভিসা প্রসেসিংয়ের একটি অন্যতম অংশ। এর পর আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে কন্সুলেটরের সাথে সাক্ষাতের সময় নিয়ে আসতে হবে ।
- আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে কন্সুলেটরের সাথে সাক্ষাতের সময় আপনার কিছু উপযুক্ত কাগজ পত্র নেওয়া জরুরি । যেমন
- বৈধ পাসপোর্ট
- DS-১৬০ ফর্মের কনফার্মেশনের কপি
- ফি প্রদানের রশিদ
- ভ্রমণের উদ্যেশ্যে যিনি সমর্থন করবেন বা অথোরাইজ করবে তার দলিল পত্র ।
দূতাবাসের কন্সুলেটরের সাথে সাক্ষাতের সময় বিশেষ করে ভ্রমন সম্পর্কে এবং পুনরায় ফিরে আসা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে থাকে এর সাথে আর্থিক স্থিতি নিয়ে ও কথা হয় এবং যাচাই বাছাই করা হয় ।
সব কিছু যতাযত ভাবে ঠিক থাকলে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন অনুমোদিত হয় এবং ভিসা দূতাবাস থেকে স্ট্যাম্প করা হয়ে থাকে। এই পুরোপরি প্রক্রিয়াটি শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে ।
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পেতে সময় লাগে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত। এই সময় নির্ভর করবে আপনার ডকুমেন্টস এবং সাক্ষাৎকারের উপর নির্ভর করে। DS-160 ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট ফি প্রদানের পর আমেরিকান দূতাবাসের কাজের চাপের উপর ও নির্ভর করে থাকে। তবে ৭ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প করা হয় ।
আরও পড়তে পারেনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ
তবে বিশেষ তেমন কোন প্রশ্ন আপনাকে করে না তারা। কারণ আমি পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আপনি কোন ভাষায় ইন্টারভিউ দেবেন তা আগে বলে দিতে পারবেন। বাংলায় হলে বাংলায় আবার আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী ইংলিশেও অভিজ্ঞতা থাকলে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্যে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন ।
ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ঘাবড়াবেন না। কারণ তারা আপনার উপস্থিতি লক্ষ্য করবেন এবং আপনার এই কন্টাক্ট করবে । আপনার পোশাক এবং স্মার্টনেস কে লক্ষ্য করে থাকে বেশি।
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের ইন্টারভিউ তে যেসব সম্ভাব্য প্রশ্ন করতে পারে
১ প্রশ্নঃ আপনি কেন USA বা আমেরিকা যাবেন ?
আপনি DS-160 ফর্মে B1 দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বলবেন আপনার মিটিং আছে বা কনফারেন্স আছে । অবশ্যই জানতে চাইবে আপনার ব্যবসা কি ? আর যদি B2 অপশন দিয়ে থাকনে তাহলে আপনি বলবেন আপনি টুরিস্ট এ যাচ্ছেন ।
২ প্রশ্নঃ আপনি আগে কখনো কি USA বা আমেরিকা গিয়েছেন ?
আপনি আগে যদি আমেরিকা বা USA গিয়ে থাকেন তাহলে তা বলা জরুরি এবং বলবেন । আর যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে যাননি এই কথা বলবেন ।
৩ প্রশ্নঃ আপনার কি USA বা আমেরিকা তে কোন পরিচতি বা রিলেটিভ কেউ আছে ?
আপনার যদি কোন রিলেটিভ থাকে তাহলে আছে বলবেন আর না থাকলে নাই বলবেন ।
৪ প্রশ্নঃ আপনার USA বা আমেরিকাতে ভ্রমনের খরচ কে দিবেন ?
আপনার যদি কোন শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে তাহলে তার নাম ঠিকানা বলবেন যিনি আপনার খরচ বহন করবেন । আর যদি আপনি নিজে দিন তাহলে আপনার নিজের খরচের কথা নিজে বলবেন ।
৫ প্রশ্নঃ স্পন্সর কে নিবেন এবং তিনি কি করেন ইনকাম কত ?
যদি আপনার স্পন্সর কেউ নিয়ে থাকে বা আপনার খরচ কেউ দিয়ে থাকেন তাহলে তার ঠিকানা দেওয়া টা জরুরি । এর সাথে তিনি কি করেন সেটাও জানিয়ে দিতে হবে । আত্মীয় হলে তার সম্পর্কে বলবেন তার ইনকাম কত ।
৬ প্রশ্নঃ USA বা আমেরিকা তে গেলে কোথায় থাকবেন ?
USA বা আমেরিকা গেলে কোথায় থাকবেন এই তথ্য নিশ্চয় জিজ্ঞেস করবেন । যদি আপনার আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন তাহলে তা বলতে হবে আর না হলে কোন হোটেলে থাকবেন তা আপনাকে ঠিকানা দিতে হবে ।
৭ প্রশ্নঃ আপনার সাথে কে যাবে ? স্বামী বা স্ত্রী ?
আপনার সাথে কে কে যাবে এই প্রশ্ন করলে আপনি যদি একা যান তাহলে নিজের কথা বলবেন আর যদি আপনার স্ত্রী যাই তাহলে স্ত্রীর সম্পর্কে বলবেন ।
৮ প্রশ্নঃ আপনি কখন ফিরে আসবেন ?
আপনি কখন ফিরে আসবেন এই প্রশ্ন করতেই পারে । আপনার ফিরে আসার সম্ভাব্য দিন আপনি জানিয়ে দিতে পারেন।
৯ প্রশ্নঃ আপনি USA বা আমেরিকাতে কতদিন থাকবেন ?
আপনি কতদিন থাকবেন সেটাও জানিয়ে দিতে পারেন । তবে USA বা আমেরিকাতে ৫ থেক ৬ বছরের জন্যে টুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকে ।
১০ প্রশ্নঃ আপনি USA বা আমেরিকাতে ভ্রমনের পর ফিরে আসবেন তার নিশ্চয়তা কি ?
এই প্রশ্ন করলে আপনি অবশ্যই তাদের জানান যে আপনার বাংলাদেশ ব্যবসা বা ভালো জব আছে । এই দেশে আপনার অনেক সম্পদ রয়েছে আপনি সেই দেশে বেশি দিন থাকার কোন মানে হয় না । এই কথা কিন্তু খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ন ।
তবে মনে রাখবেন ঘাবড়াবেন না । আপনার চলা ও বলার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে এই USA বা আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ ।তেমন বেশি অবান্তর প্রশ্ন দিয়ে আপনাকে জর্জরিত করবে না । মনে রাখবেন ইন্টারভিউ কিন্তু ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট প্রর্যন্ত ।
আমেরিকার ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
তবে আমেরিকা বা USA ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে টুরিস্ট/স্টুডেন্ট/ ব্যবসা/ কাজের ভিসা একেক রকম যোগ্যতা প্রয়োজন পড়ে । তবে আমরা আমেরিকার টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে তুলে ধরলাম ।
- বৈধ পাসপোর্ট
- অন্য কোন দেশে ভ্রমন করে থাকলে তার ডকুমেন্ট
- ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- যে কারনে ভ্রমন করছেন তার কাগজপত্র
- জব হোল্ডার হলে ছুটির কাগজপত্র
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্যে কত টাকা লাগে
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে এবং যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশি টাকায় আপনার টাকার প্রয়োজন হবে ১৯ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা । যা আমেরিকার USA ডলারে ১৬০ ডলার পর্যন্ত । তবে এটি শুধু আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার আবেদন পর্যন্ত । এর পর প্লেনের টিকিট খরচ এই সব কিছু আলাদা ।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আমেরিকা কাজের ভিসার জন্যে অনেকে হন্য হয়ে খুঁজেন । কিন্তু আপনি জানেন কি আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন যত সহজ আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সালে সেইপ্রকারে খুব একটা সহজ নই ।
তাই আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে আগে আমেরিকা কোন কোম্পানী থেকে কাজের জন্যে জব অফার পেতে হবে । এই অফারগুলি তাদের কোঁম্পানী তাদের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে শুন্য পদ পূরনের জন্যে সার্কুরলার দিয়ে থাকেন ।
এই রকম আপনাকে আগে কাজের জন্যে অফার নিয়ে সেই অফার তারা গ্রহন করলে বা পারমিশন পেলে তারপর আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন । আবেদন করার জন্যে H-1B ফর্মে আবেদন করবেন যুক্তরাজ্যের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://www.state.gov/ গিয়ে ।
এই আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারনত ৫ থেকে ৬ বছরের জন্যে হয়ে থাকে । এর পরও চাইলে আপনি ৩ বছরের জন্যে বাড়াতে পারবেন । তবে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিভিন্ন কোম্পানী থেকে জব সার্কুলার দিয়ে থাকেন ।
আমেরিকা ভিসার দাম কত
আমেরিকা ভিসার দাম
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাকে H-1B ভিসা বলে থাকে এর দাম হচ্ছে ১৬০ ডলার যা বাংলায় ১৯০০০/- টাকা পর্যন্ত
স্টুডেন্ট ভিসাকে F-1 ভিসা বলে থাকে এর দাম হচ্ছে ১৬০ ডলার যা বাংলায় ১৯০০০/ টাকা পর্যন্ত
টুরিস্ট ভিসাকে B-1/B-2 ভিসা বলে থাকে এর দাম হচ্ছে ১৬০ ডলার যা বাংলায় ১৯০০০/ টাকা পর্যন্ত
আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন সম্পর্কে লেখকের শেষ বার্তা
আপনার জন্যেঃ বাংলাদেশ যুক্তরাস্ট্র দূতাবাস
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url