IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় । It is possible to go to any European country without IELTS
IELTS (আইইএলটিএস) কি এবং কেন ইউরোপের যাওয়ার জন্যে প্রয়োজন
IELTS (আইইএলটিএস) কি এবং কেন প্রয়োজন এই প্রশ্ন অনেকের মধ্যে রয়েছে। হয়ত যারা ইউরোপে যাওয়ার চিন্তা করছেন তারা অনেকে জানে আবার অনেকে জানেনা কেন প্রয়োজন। IELTS (আইইএলটিএস) এর ভিতরেই কেন প্রয়োজন সেটি লিপিবদ্ধ রয়েছে ।
IELTS (আইইএলটিএস) মানে হলো (I-International) ইন্টারন্যাশনাল (E-English) ইংলিশ (L-Language) ল্যাঙ্গুয়েজ (T-Testing) টেস্টিং (S-System) সিস্টেম ।
অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ভাবে ইংরেজি ভাষার পরীক্ষামূলক পদ্বতি কে বলে IELTS (আইইএলটিএস) । বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষার উপর দক্ষতার জন্যে অগ্রণী বিশেষজ্ঞরা এই পরীক্ষাটি তৈরী করেছেন ।
ইংরেজী ভাষার দক্ষতা যাচাই করার জন্যে ইংরেজি পড়া, লিখা, বলা এবং ইংরেজি ভাষা শোনা পর্যন্ত সব কিছুই ট্রেনিং এর মাধ্যমে আয়ত্ব করার জন্যে যে পদ্বতি তাকে IELTS (আইইএলটিএস) বলে। এটি খুবই জরুরি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্যে। কারণ সব দেশের একটি মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে ।
কিন্তু এই জনপ্রিয় ইংরেজী ভাষা হলো সারা বিশ্বে চলার জন্যে বা প্রত্যেক দেশের মানুষের সাথে মিলিত হাওয়া, ভাব আদান প্রদান করা, ভাষা শোনা এবং বুঝার জন্যে এই IELTS (আইইএলটিএস) এর সূচনা করেছিল। তাই IELTS (আইইএলটিএস) ইউরোপ যাওয়ার জন্যে বেশি প্রয়োজন ।
তবে Ielts (আইইএলটিএস) ছাড়াও ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় । আমরা আজেক সেই কথা বলার চেষ্টা করবো । কিন্তু Ielts (আইইএলটিএস) করা থাকলে ইউরোপের সর্বোচ্চ দেশগুলিতে পড়ালেখা বা চাকরি করার জন্যে অনেকাংশে সুবিধা ভোগ করা যায় ।
IELTS ছাড়া ইউরোপ স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন যে দেশে
প্রত্যেক স্টুডেন্টদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ ইউরোপে যাওয়ার জন্যে স্বপ্ন থাকে । তবে আমরা সবাই জানি ইউরোপের দেশ গুলিতে যেতে হলে IELTS (আইইএলটিএস) করা বাধ্যতামূলক । IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেটি আপনার কাছে অজানা ।
কিন্তু আপনি জানেন কি ইউরোপের অনেক দেশে IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাচ্ছে । আমরা শুধু ইউরোপ মানে মনে করি যুক্তরাজ্য বা তার রাজধানী লন্ডন মনে করি।
ইউরোপ মহাদেশের অনেক দেশ আছে যেখানে IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা করা যায়। সেই দেশ গুলি আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
একটা বিষয় জানিয়ে দেয়া জরুরি আসলে IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেক কষ্ট। কারণ IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে আপনার স্কোর পেতে হবে ৬ পয়েন্ট। যা খুবই কষ্ট হয়ে যায় ।
তবে একটি পদ্বতি আছে যেটা অনুসরণ করে নিম্নলিখিত দেশগুলি আপনাকে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে থাকেন । কিন্তু আপনাকে ভার্সিটি থেকে MOI সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই MOI সার্টিফিকেট মানে হচ্ছে Medium Of Instruction এই সার্টিফিকেট দিয়ে IELTS (আইইএলটিএস) পরিবর্তে সাবমিট করে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন।
এই (MOI) হচ্ছে ভার্সিটিতে ব্যাচেলর/বিবিএ/বিএসসি পড়ার সময় যে ইংরেজি ছিল তার একটা প্রত্যয়ন পত্র /প্রমাণপত্র/সনদ । আমাদের দেশের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলা মাধ্যমের কোর্সগুলি বাদে সব প্রাইভেট বা পাবলিক ভার্সিটির ব্যাচেলর ইংরেজি সার্টিফিকেট। এই (MOI) সার্টিফিকেট বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষার স্কলারশিপ জন্যে আবেদন করতে লাগে ।
- পোল্যান্ড
- রোমানিয়া
- মালটা
- গ্রিস
- ফ্রান্স
- পর্তুগাল
- হাঙ্গেরি
- ইতালি
- সার্বিয়া
- বুলগেরিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন কার না থাকে। আজকের আর্টিকেল হচ্ছে IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। এই IELTS নিয়ে সবাইকেই পড়া লেখার জন্যে যাবে। কারণ IELTS তো পড়ালেখা বা উচ্চশিক্ষা স্কলারশিপ এর জন্যে প্রয়োজন ।
কিন্তু অনেকে তো অর্থ উপার্জনের জন্যে বিভিন্ন পেশার অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে চাচ্ছেন এবং কম খরচে। তাই আমরাও বলার চেষ্টা করবো কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় ।
কিছু কিছু ইউরোপের দেশ রয়েছে যেখানে কম খরচে অর্থ উপার্জনের জন্যে যাওয়া যায় । যেমন লিথুনিয়া, মালটা, কানাডা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও পর্তুগাল। এই দেশ গুলিতে আপনি খুবই অল্প টাকায় যেতে পারবেন ।
এই দেশগুলিতে কয়েক মাধ্যমে ভিসা পাওয়া যায়। ভিজিট ভিসা এবং কাজের ভিসা। ইউরোপের এই দেশগুলিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে অন্তত ৮ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। আর ভিজিট ভিসা নিয়ে যদি যেতে চান তাহলে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে ।
সরকারিভাবে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে ইউরোপের অনেক দেশে প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ গিয়ে থাকে সেটা হোক কাজের জন্যে অথবা স্কলারশিপ এর জন্যে। কিন্তু কথা হলো সরকারিভাবে হলে পথটা একটু নিরাপদ বলে মনে করে থাকে। নির্ভর করার একটি জায়গা হচ্ছে সরকারি ভাবে ।
তাই অনেকের মনে প্রশ্ন IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় স্কলারশিপ এর জন্যে। আবার বিভিন্ন পেশার কাজের জন্যে সরকারিভাবে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই প্রশ্ন প্রায় সময় অনলাইনে এসে মানুষেরা সার্চ করে থাকে ।
তবে ২০২৩ সালে অক্টোবরে ক্রোয়েশিয়া সরকারি ভাবে মানুষ নেওয়ার কথা সরকারিভাবে বলা হয়েছিল সেখানে বেতন হিসেবে ৭৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরা হয়েছিল বলে চুক্তি হয়েছিল। তবে বর্তমানে সরকারি ভাবে ইউরোপের অনেক দেশে যাওয়া যাচ্ছে ।
- ফ্রান্স
- ডেনমার্ক
- ইতালি
- ফিনল্যান্ড
- নিউজিল্যান্ড
- সুইজারল্যান্ড
- লন্ডন
- রোমানিয়া
আরও পড়তে পারেনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি
ইউরোপে কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
আমাদের আর্টিকেল হলো, IELTS (আইইএলটিএস) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় । এতক্ষন ধরে পথ চলতে চলতে আমরা এখন IELTS (আইইএলটিএস) দিয়ে স্কলারশিপের কথা ফেলে কাজের জন্যে ইউরোপে কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেই কথায় এসেছি ।
ইউরোপের দেশ গুলিতে ভিসা পেতে যদিও একটু বেগ পেতে হয়। তথাপি বর্তমানে ইউরোপে কোন কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়। আমরা বলার চেষ্টা করছি ইউরোপে কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেই কথা ।
অনেকগুলি ইউরোপের দেশে সহজে ভিসা মিলছে । সেগুলি হলো পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরী, লিথুনিয়া, মালটা, সুজারল্যান্ড, ফ্রান্স। তবে ফ্রান্স খুবই অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী একটি দেশ যেখানে খুব সহজে টুরিস্ট ভিসা আপনি পেয়ে যাবেন ।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বিশ্বের সবচাইতে উন্নত দেশ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ইউরোপের দেশগুলি। এই দেশগুলিতে যাওয়ার জন্যে চাইলে তেমন টাকা ও খরচ হয় বেশি।
ইউরোপের দেশ গুলিতে কোন দেশে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করে কোন দেশ কত বেশি উন্নত। কারণ ইউরোপের দেশগুলি এত উন্নত যে, তাদের অর্থনৈতিক জিডিপি যে দেশে বেশি সে দেশে একটু বেশি টাকা লাগে।
তবে আমরা চেষ্টা করবো ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে সেই কথা সুন্দর ভাবে বলার। এতে করে আপনাদের ও সুবিধা হবে জানতে যে, কোন দেশে কাজের জন্যে কত টাকা লাগে এবং টুরিস্ট ভিসার জন্যে কত টাকা লাগে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কতটাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে ৮ - ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
টুরিস্ট ভিসায় যেতে হলে ৩ - ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে ৭-৮ লক্ষ টাকা
ভিজিট ভিসা ২ - ৩ লক্ষ টাকা
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে ৯-১০ লক্ষ টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
ভিজিট ভিসা ৪-৫ লক্ষ টাকা
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে ৮-১২ লক্ষ টাকা টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
উচ্চশিক্ষার জন্যে ৯-১০ লক্ষ টাকা মধ্যে।
তবে জার্মানি যেতে হলে জার্মানি ব্যাংকে আগেই অর্থ জমা করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে ৮-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে ।
এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হলে ৮-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে ।
তবে সুজারল্যান্ড হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ সুন্দর্যের একটি দেশ যাকে মানুষ ভূস্বর্গ বলে মনে করে থাকে এই দেশে ভিজিট ভিসা ৪-৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url