গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া উপকারি
সূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় । মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব। এই মাতৃত্বের স্বাদ পেতে হলে নির্দিষ্ট একটি পন্থার মধ্যে গর্ভবস্থায় তাকে জীবন ধারণ করতে হয়। হ্যা আমি গর্ভবস্থার কথা বলছি। অনেকের প্রশ্ন, গর্ভবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় ?কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে মাছ খাওয়ার বিষয়ে বা খাওয়া দেওয়ার সময় সতর্ক থাকার ব্যাপার রয়েছে। তাই আমরা আজকের এই নিবন্ধে আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এবং তার সাথে গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া উপকারি ।
গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না
গর্ভবস্থায় অনেক মাছ খাওয়া যায় আবার অনেক মাছ খাওয়া না বা খুব অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকে মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই আর্টিকেলে গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না সেই বিষয়ে একটু কথা বলে আসি ।
প্রথমেই বলি গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না ? যেসব মাছে বেশি পরিমান পারদ রয়েছে সে সব মাছ খাওয়া যাবে না । সেগুলি আপনার সন্তান তথা গর্ভবস্থায় মায়ের জন্যে খুব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছেই বেশি পারদ থাকে বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত । তারমধ্যে রয়েছে শার্ক, টুনা মাছ ইত্যাদি ।
এইগুলি চিকিৎসকের মতামতের উপর ভিত্তি করে আমরা বলার চেষ্টা করছি। কারণ সব সামুদ্রিক মাছে আবার বেশি পরিমান পারদ থাকে না। যেসব মাছে পারদ আছে বা পরিমানে কম এবং গর্ভবস্থায় মায়ের জন্যে খুব ভাল। অর্থাত গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে সেই বিষয়ে আমরা পরের টপিকে আলোচনা করবো ।
গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে
আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি যে গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না। এবার গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে সেই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো প্রিয় পাঠক বন্ধুদের। যদিও গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই টপিকে শুধু কি মানুষ মৃগেল মাছ সম্পর্কে জানবে ?
না আরো অন্যান্য মাছের সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে অনেকের। তবে সেক্ষেত্রে চিংড়ি মাছ, স্যামন ,তেলাপিয়া মাগুর এবং শিং মাছ খাওয়া যাবে। গর্ভবস্থায় কত পরিমান মাছ আপনি খেতে পারবেন সেটিও মনে রাখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছে অতিরিক্ত মাছ আপনি খেলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে তিন বার অন্তত ২২৫গ্রাম থেকে শুরু করে ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত আপনি মাছ খেতে পারেন। তাহলে গর্ভবস্থায় আপনার সন্তানের জন্যে ও খুব উপকারী।
গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়
গর্ভবস্থায় অনেক কিছু সাবধানে খেতে হয়। কারণ গর্ভবস্থায় মায়ের যেসব খাওয়ার মাধ্যমে পুষ্টির যোগান হয় সেই সব সন্তানের মধ্যে প্রভাবিত হয়। তাই মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে ও একই বিষয় মেনে চলার কথা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন।
অনেকের ধারণা মৃগেল মাছ খেলে নাকি সন্তান জন্মের পর মৃগী রোগ হয়। এই কথার ধর্মীয় ব্যাখ্যা এখনো কোন ধর্মগুরু দেয় নি। আবার বৈজ্ঞানিক যুক্তিতেও গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই কথার কোন যুক্তি পাওয়া যায় নি।
তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি এইটা নিছকই একটি ভ্রান্ত ধারণা। গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই কথাটি শুধুমাত্র অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে এত বছর চলে আসছিলো। তাছাড়াও আরো অনেক রকম এই অন্ধবিশ্বাসের কথা রয়েছে তার মধ্যে গর্ভবস্থায় শোল বা শিং মাছ খাওয়া যাবে না।
এই মাছ খেলে শিশুর জন্মের পর নাকি সাপের মত দেখতে হয়। বোয়াল মাছ খেলে সন্তানের চোয়াল নাকি বড় হয়। এইগুলি হলো মিথ্যা বানোয়াট। মনগড়া কিছু ভ্রান্ত ধারণা তৎকালীন বৃদ্ধদের কথার উপর ভর করে চলে আসছিলো ।
তাই মৃগেল মাছ খেলে কি হয় তা আমরা আগেই একটু করে ধারণা দিয়েছিলাম। যে মাছের মধ্যে পারদের অবস্থান বেশি সেই মাছ গুলি এড়িয়ে চলা ভাল। আপাতত মৃগেল মাছ আপনি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। মৃগী রোগ হওয়ার কোন অবকাশ আপাতত নেই ।
আরও পড়ুন : সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ কি এবং এর প্রভাবে বাস্তব জীবন কেমন হবে
গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা
একজন প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্যর উপর যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এবং গর্ভবস্থায় কি কি মাছ খেলে উপকারিতা পাওয়া যায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। অনেকে মনে করেন গর্ভবস্থায় শিং মাছ খেলে নাকি সন্তান জন্মের পর সর্পাকৃতির হয়।
আবার মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই প্রশ্ন ও অনেকে করেছেন। মৃগেল মাছ খেলে নাকি মৃগী রোগ হয় সন্তান জনমের পর। এই সমস্ত উদ্ভট ভ্রান্ত ধারণার ফলে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা স্বরূপ বলা যায় গর্ভবস্থায় মায়ের অনেক পুষ্টি গুনের যোগান দিয়ে থাকে এই শিং মাছ। শিং মাছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং প্রধান কথা হচ্ছে রক্তশূন্যতার ঘটতি পূরণ করে শিং মাছ। এবং সাথে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কি
গর্ভবস্থায় পুষ্টির যোগান দেওয়ার জন্যে কিছু বিষয় দেখে শুনে চলতে হয়। কিছু খাবার আমাদের দেহের পুষ্টির যোগান দেই। আবার কিছু কিছু খাবার পুষ্টির যোগান দিলে ও আমরা কুসংস্কারে পরে খায় না। যেমন মৃগেল মাছ খেলে নাকি সন্তান মৃগীরোগে ভুগে।
আবার সবজি জাতীয় খাবার খেলে শরীর ফাটা ফাটা হয়ে যায়। এই সব কুসংস্কারে পড়ে আবার অপুষ্টিহীনতার শিকার হয়। গর্ভবস্থায় মাছের ডিম খাওয়া যাবে কি ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজেছেন অনেকে।
গর্ভবস্থায় আয়োডিন যুক্ত খাবার খুব প্ৰয়োজন এবং তাই আয়োডিন যুক্ত লবন খান। এবং মাছ ডিম্ খাওয়া অবশ্যই ভুল করবেন না। সব রকম ডিম খাওয়া যাবে। গর্ভবস্থায় মাছের ডিম ও খাওয়া যাবে। মাছের ডিমে পুষ্টিতে ভরপুর। তাই এতে করে মায়ের দেহে পুষ্টি গুনের যোগান দিতে মাছের ডিমের বিকল্প নেয়।
গর্ভবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া যাবে কি
তেলাপিয়া মাছ বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি মাছ। যদিও এই ম্যাচে অনেক পুষ্টি গুন্ রয়েছে। তবু ও গর্ভবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া যাবে কি এই প্রশ্ন যাদের মনে রয়েছে তাদের জন্য বলা যায়।
তেলাপিয়া মাছের মধ্যে মরন ব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে ১০% পুষ্টিবিদদের ভাষায় ।
তাছাড়াও তেলাপিয়া মাছে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে। যেটি মানুষের তথা গর্ভবতী মায়ের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাই তেলাপিয়া মাছ না খাওয়ায় উত্তম।
গর্ভবস্থায় পাঙ্গাস মাছ খাওয়া যাবে কি
পাঙ্গাস মাছ বর্তমানে খুব সচরাচর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের প্রশ্ন গর্ভবস্থায় পাঙ্গাস মাছ খাওয়া যাবে কি ? যেহেতু নিত্যদিন এই পাঙ্গাস মাছের দর্শন আমরা পাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় বলে এখন পাঙ্গাস মাছ হ্যাচারিতে চাষ করছে ।
বিভিন্ন রকম ঔষধের মাধ্যেম এই পাঙ্গাস মাছ বড় ও তাজা করে। তাই পাঙ্গাস মাছ খেলে খুব তেমন একটা পুষ্টির যোগান হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতিই হবে বলে মনে করি। কারণ বিভিন্ন রকম রাসায়নিক এই মাছের হ্যাচারিতে দিয়ে থাকে।
যা মাছের মাধ্যেম মানব দেহের মধ্যে ছড়ানোর সমস্যা থাকে এবং গর্ভবস্থায় মায়ের ও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই গর্ভবস্থায় পাঙ্গাস মাছ না খাওয়াই শ্রেয় হবে বলে মনে করি। হ্যা তবে সামুদ্রিক পাঙ্গাস মাছ অবশ্যই খাওয়া যাবে। কারণ যেহেতু সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিনের আধিক্য থাকে।
তবে নদী কিংবা সমুদ্রের পাঙ্গাস মাছের মধ্যে অনেক গুণাবলী বিরাজমান। পাঙ্গাস মাছ গর্ভবস্থায় ব্রুনের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এর সাথে করোনারি হৃদরোগের জন্যে পাঙ্গাস মাছ ভাল গুন্ বহন করে।
গর্ভবস্থায় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে কি
গর্ভবস্থায় একটু ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে সামুদ্রিক মাছে খুব বেশি পারদ থাকে তাই দেখে শুনে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার কথা বলছে।
কারণ আমাদের মানব দেখ ফ্যাটি এসিড উৎপন্ন করতে সক্ষম নই। যেই ফ্যাটি এসিড কেমন মাত্র ভিবিন্ন রকম খাওয়ার মাধ্যেম অর্জন করতে হয়। সামুদ্রিক মাছে দুই ধরনের ওমেগা-২ ফ্যাটি এসিড থাকে।
একটি হচ্ছে ইপিএ ও আরেকটি হচ্ছে ডিএইচএ। তাই এই অভাবগুলি পূরণ করতে হলে আপনাকে সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে বা গর্ভবস্থায় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে। তবে সাবধানে মাছ নির্বাচন করে খেতে হবে।
গর্ভবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে কি
এর সাথে ফ্যাটি এসিড ওমেগা-৩ থাকে যা গর্ভবস্থায় প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে খুব সহায়তা করে এবং শিশুর শরীর ভাল রাখে। তাছাড়া ও আপনি চিংড়ি মাছে ভিটামিন বি ১২ এবং ভিটামিন ডি পেতে পারেন। তাই গর্ভবস্থায় চিংড়ি মাছ অবশ্যই খাওয়া যাবে নির্দ্বিধায়।
গর্ভবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি
ইলিশ মাছ মাছের রাজা। ইলিশ খুবই সুস্বাদু খাবার এবং সেই সাথে লোভনীয় মাছ। বাজারে চড়া দামে এই ইলিশ মাছ কিনে নিতে হয়। কিন্তু গর্ভবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কি? ইলিশ মাছ বহু পুষ্টি গুনে গুণান্বিত একটি মাছ ।
এই ইলিশ মাছ শিশুদের মস্তিক বিকাশের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাছ। তবে এই মাছে কিছু সমস্যা ও রয়েছে গর্ভবস্থায় খাওয়া । কারণ এই ম্যাচে যথেষ্ঠ পরিমানে পারদ বা মার্কারি থাকে।
যা পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি পরিমানে যে মাছে পারদ বা মার্কারি রয়েছে সেই সামুদ্রিক মাছ গুলি এড়িয়ে চলার জন্যে। তাই সেক্ষেত্রে গর্ভবস্থায় ইলিশ মাছ খাওয়া যাব না ।
গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া উপকারি এই নিয়ে লেখকের শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে বা খেলে উপকারী এবং তার সাথে রয়েছে আজকের মূল কথা গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় এই নিয়ে আমরা সবিস্তারে কথা বলার চেষ্টা করেছি। আপনারা ও আমাদের এই বিষয়গুলি ভাল করে জেনে সতর্ক হবেন।
গর্ভবস্থায় মায়ের যত্ন নেওয়ার জন্যে এইগুলি জানা দরকার। তাই যেসব মাছের মধ্যে পারদ বা মার্কারি রয়েছে সেসব মাছ গুলি এড়িয়ে যাবেন। তাহলে আশা করি আপনাদের আর সমস্যা হবে না। আপনার ভাল লাগলে অন্যকে জানানোর জন্যে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ।
লোকেদের প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
গর্ভাবস্থায় কোন মাছ খেলে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় ?
গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে চিংড়ি, মেকারেল এবং স্যামন এই জাতীয় মাছের মধ্যে বেশি পরিমানে প্রোটিন পায় যায় এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খেলে খুব ভাল।
গর্ভবস্থায় কোন মাছ খেলে অনাগত সন্তানের ক্ষতি হতে পারে?
যে মাছের মধ্যে পারদ বা মার্কারি থাকে সেই সব মাছ এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বিশেষ করে সার্ক, টুনা মাছ এই সব ম্যাচে বেশি পরিমানে পারদ থাকে।
গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া যাবে কি ?
গর্ভবস্থায় ডিম খাওয়ার সমস্যা একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না। কারণ আদা সিদ্ধ ডিম বা কাঁচা এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা খাওয়ার সাথে মিশে গিয়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করবে। তাই সম্পূর্ণ সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে গর্ভবস্থায় ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url