গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ কোনটি এবং গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে এন্টাসিড গ্রহণ করা কি নিরাপদ
গর্ভবতী মায়ের গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যা
আসলে মূল কথা হচ্ছে, সাধারণ ভাবে সব মানুষের মধ্যে কম বেশি গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু গর্ববতী মায়ের ক্ষেত্রে গ্যাস হলে একটু জটিলতা দেখা দেয়। তাই গর্ববতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা নিয়ে কথা হচ্ছে । আসুন তাহলে সমস্যা গুলি একটি তদারকি করি।
আসলে গর্ববতী মায়ের গর্ব ধারণের পরে কিছু বিশেষ হরমোনের পরিমান নির্দিষ্টতার চেয়ে একটু বেশি পরিমানে বৃদ্বি পাই। তারমধ্যে হলো প্রোজেস্টেরন হরমোন। এটি গর্ববতী মায়েদের একটু বেশি বৃদ্বি পে এই সময়ে। এবং এর সাথে হজমের সাথে সংযোক্ত কিছু পেশীর কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই কারণে গর্ববতী মায়েদের গ্যাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে বা গ্যাসের সমস্যা হয় । এর সাথে পেট ও ফাঁপা হয়ে যায় এবং কোষ্টকাটিন্য হওয়ার ও সম্ভবা বেড়ে যায় । তাই আজকে এই সমস্যার কারণে আমরা গর্ববতী মায়ের ঔষধ কোনটি সেই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করছি । আপনারাও সাথে সঙ্গ দিবেন আশা করি অনেক কিছু জানার আছে পরে ।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ খাওয়া যাবে কি
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ
তাছাড়াও একেক গর্ভবতী মায়ের রক্ত সঞ্চালন এবং রক্তের ধরন একেক রকম। এবং কোন ঔষধ কোন গর্ভবতী মায়ের প্রযোজ্য সেটি একমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারি বেশি ভাল বুজবেন তার রক্তের প্রবাহ এবং পরীক্ষার মাধ্যেম।
তাই এই বিষয়গুলি ভাল করে বুজে একজন ডাক্তারি তাকে ভাল ঔষধ খাওয়ার কথা বলতে পারবেন। তবে বাজারে নিম্নলিখিত কিছু গ্রূপের গ্যাসের ঔষধ পাওয়া যায়। সেটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা
- প্যান্টপ্রাজল
- রেবিপ্রাজল
- ওমিপ্রাজল
- ইসোমিপ্রাজল
এই উপরিউক্ত গুপগুলির উপর ভিত্তি করে একেক কোম্পানি একেক নামের ঔষধ তৈরী করে থাকে ।
যথা ঃ
- ম্যাক্সপ্রো
- সারজেল
- কোসেক
- অমিপ্রাাজল
- ইসমোপ্রাজল
- অমিক্রন
- ওমেপ
- পিপিআই
তবে আমাদের এই টপিকে পরামর্শ থাকবে যে, আপনারা মানে গর্ভবতী মায়েরা যারা নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে গ্যাসের ঔষধ নিয়ে খান তাদের প্রতি অনুরোধ রইল।
একজন ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সানিধ্যে থেকে ঔষধ সেবন করবেন। কারণ তাতে করে আপনার অনাগত সন্তানের উপর হয়ত ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আশা করি গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ কোনটি এই নিয়ে আর দ্বিধা থাকার কথা নই ।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা কিভাবে দূর করবেন
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ কোনটি এই চিন্তা বাদ দিয়ে। ঘরোয়া ভাবে গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্যে কিছু পদ্বতি গ্রহণ করলে এবং সচেতন হলেই অনেকক্ষানি সমস্যা দূর করা সম্ভব। তবে গর্ভবস্তায় গ্যাসের সমস্যা একটু আধটু হয়েই থাকে। কিন্তু আমরা সাবধানতার সাথে কিভাবে চলতে পারি তা একটু দয়া করে খেয়াল করবেন ।
গ্যাস যুক্ত খাওয়ার বর্জন করা
- পিঁয়াজ
- রসুন
- মসলা জাতীয় খাবার
- আপেল
- নাশপাতি
এইগুলি সম্ভাব্য বেশিই গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে তাই এগুলি এড়িয়ে চলুন।
ধীরে-সুস্থে খাওয়া
কিন্তু ধীরে সুস্থে খেলে বাতাস তেমন ডুকতে পারে না। কারণ তাড়াতাড়ি খাওয়ার সময় খাবার চিবানোর চেয়ে গিলে ফেলা বেশি যায় । অনেকাংশে তেমন হজম হয় না। যা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই ধীরে-সুস্থে খান ।
হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে
কম কম করে বার বার খাওয়া
তারপর হলো রাত্রের বেলা খাবার একটু তাড়াতাড়ি খাবেন। কারণ হচ্ছে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন তাতে করে খাদ্য পরিপাক হতে সহজ হয় এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায় ।
নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখা
গর্ভবস্থায় যতটুক পারা যায় নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা। কারণ বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা মাথায় থাকলে খাওয়ার সময় গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা দরকার। তাতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এইজন্যে কিছু শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে সেগুলি একটু অনুসরণ করলে অনেকটা সুফল পাবেন ।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে এন্টাসিড গ্রহণ করা কি নিরাপদ
তবে এই এন্টাসিড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেলে বিপদ হতে পারে। তার কারণ হিসেবে বলা যায় এলুমিনিয়াম এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেট মানুষের শরীরে ক্ষতির প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। সোডিয়াম বাইকার্বোনেট শরীরে বেশিদিন প্রয়োগ করলে পানি জমার সম্ভবনা রয়েছে এবং গর্ববতী মায়ের পায়ের গোড়ালি ফুলে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
তবে ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় এন্টাসিড ঔষধ গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের জন্যে বা বদহজমের জন্যে নিরাপদ বলে গণ্য হয়। তবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টাসিড সেবন করা উত্তম।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে করণীয়
- কোন মতে অতি মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না ।
- গ্যাস এড়াতে একটু আদা জল, পুদিনা পাতা এবং লেবু জাতীয় পানীয় গ্রহণ করুন ।
- নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম যাওয়া ।
- অতিরিক্ত আহার পরিত্যাগ করা ।
- ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বর্জন করা ।
- নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখা ।
- হালকা কিছুটা শারীরিক ব্যায়াম করা ।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ নিয়ে শেষ কথা
তাই গর্ববতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা হলে আমাদের এই আর্টিকেলের বিষয়গুলি ও একটু দৃষ্টিপাত করবেন আশা করি দিক নির্দেশনা মূলক অনেক কিছুই আপনার জন্যে খুব উপকারে আসবে ।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
গর্ভবতী মায়ের কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না ?
এন্টিবায়টিক ঔষধ তো একদম খাওয়া যাবে না কোনমতেই। তার সাথে
আ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, লোরাজেপাম, লিথিয়াম পিল ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে অনাগত সন্তানের কি কোন সমস্যা হয় ?
গর্ভবস্থায় মায়ের গ্যাস হলে অনাগত সন্তানের তখন সমস্যা হয় যখন অনিয়ন্ত্রিত ডাক্তারের পরামর্শ বিহীন ঔষধ সেবন করে তখন। কারণ কিছু ঔষধের প্রতিক্রিয়ার ফলে অকালে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া কোন সমস্যা নেই।
গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা কি স্বাভাবিক নাকি অন্যকিছু ?
হ্যা গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের এই সমস্যা স্বাভাবিক। কারণ সেই সময় প্রোজেস্টেরন হরমোনের বেশি বৃদ্বি এবং হজমের পেশী শক্তি একটু দুর্বল হয়ে পড়ে ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url