প্রেশার লো কি ? গর্ভাবস্থায় প্রেশার লো হলে করণীয়
পোস্টসূচীপত্রঃপ্রেশার লো হলে করণীয় | প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরের পরিবর্তন হচ্ছে । সেটা হয় খাবারের কারনে অথবা চিন্তার কারণে । এই কারণ গুলির জন্যে মানুষের ব্লাড প্রেশার উটানামা করে থাকে সব সময়। তাই আজকে প্রেশার লো হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে বলার চেষ্টা করবো।
এবং লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত,গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করণীয়, গর্ভাবস্থায় প্রেসার কত থাকা উচিত ,প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়, প্রেসার লো হওয়ার কারণ, লো প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত এবং প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ এই সব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। সঙ্গ দিলে আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
প্রেশার লো কি ?
লো প্রেশার হলো, স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরে রক্ত চলাচলের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থেকে নিচে চলে আসে তখন তাকে লো প্রেশার বলা হয় । চিকিৎসা বিজ্ঞানে,মানুষের শরীরে এই রক্তের প্রবাহ একটি স্বাভাবিক গতিতে চলে। এই রক্তের গতি হচ্ছে ১২০/৮০। এর চেয়ে নিচে নামলে তাকে লো প্রেশার বলে।
এইবার লো প্রেশার হলে কি কি করণীয় তা জেনে আসি ।
এইবার লো প্রেশার হলে কি কি করণীয় তা জেনে আসি ।
প্রেশার লো হলে করণীয়
এই লো প্রেশার কম বেশি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। অনেক কারণে এই লো প্রেশার হয়ে থাকে। যদিও লো প্রেশার মানুষের তেমন ক্ষতি করে না। তারপর ও আপনারা শরীরে কিছু শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে এই লো প্রেশার। কিন্তু কথা হলো লো প্রেশার হলে কি করণীয়? আমরা কিছু লিস্ট হিসেবে সেই লক্ষণ গুলি তুলে ধরলাম।
১. আপনার যদি হাই প্রেশার/ উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করে থাকুন, সেইটা আগে বন্ধ করুন।
২. আস্তে আস্তে পানি পান করুন।
৩. ফল খান বেশি করে।
৪. অল্প অল্প করে বার বার খান।
৫. একটু উঁচুতে শোয়ার চেষ্টা করুন।
৬. ডিম কিংবা দুধ খান প্রতিদিন।
প্রেশার লো হওয়ার কারণ
অনেক কারনে প্রেশার লো হয়। মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ সব সময় একই সময়ে প্রবাহিত হয় না। এই প্রেশার লো হওয়ার কিছু বিশেষ কারন তুলে ধরা হল ।
১. বিভিন্ন দুশ্চিন্তা
২. শরীরের দুর্বলতা
৩. লো প্রেশার হওয়ার মতো যদি কোন রোগ থাকে।
৪. পর্যাপ্ত পরিমান পানি না খাওয়ার কারণে
৫. হরমোনজনিত কোন কারন
প্রেশার লো হওয়ার লক্ষণ
কিছু কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা যায় মানুষের মধ্যে এই প্রেশার লো হওয়ার আগে। সকল মানুষের মধ্যে এই লো প্রেশার দেখা দিতে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নাই । লক্ষণ গুলির মধ্যে হলো বমি বমি ভাব,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,মাথা জিম জিম করা এবং দুর্বলতা ও ক্লান্ত ভাব এই সমস্ত কিছুর জন্যে মানুষের মধ্যে লো প্রেশারের লক্ষণ গুলি দেখা দেয়। এই গুলি ছাড়া ও আরো বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
প্রেশার লো হলে কি কি সমস্যা হয়
মানব শরীরে প্রেসার লো হলে অনেক প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, অজ্ঞান হওয়া তাছাড়াও গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা যায় অনেক ক্ষেত্রে রোগী শকে চলে যায় এবং বিপদ হওয়ার ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। তবে প্রেশার লো হলে শুধু সমস্যা নই উপকারিতা ও অনেক কিছু রয়েছে ।
যেমন কিডনি সমস্যা হয় না ।স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় । তারপর লক্ষ্য রেখে জীবন পরিচালিত হয় না । লো প্রেশার হলেও অনেক প্রকার অজানা সমস্যা হতে পারে ।
লো প্রেশার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত- প্রেশার লো হলে করণীয়
বিশেষ করে এই খাবারের উপর ভিত্তি করে আমাদের লো প্রেশার হতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু কিছু খাবার রাখতে হবে। যেমন দুধ, ডিম,শরবত ও স্যুপ এই সমস্ত খাবার গুলি রাখা খুব প্রয়োজন। এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া বেশি জরুরি।
এবং এর সাথে টক জাতীয় খাবার ও একটু খেতে হবে। কারণ এতে ভিটামিন সি থাকে। এবং ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কমলা, মালটা এবং লেবু জাতীয় ফল প্রদিনের খাবারে রাখা খুব প্রয়োজন ।
গর্ভাবস্থায় প্রেশার লো হলে করণীয়
গর্ভবস্থায় প্রেশার লো হলে করণীয় তেমন কিছু করার থাকে না। কারণ সেই সময় এমনিতে স্বাভাবিক ভাবে রক্তচাপ কম থাকে বা প্রেশার লো হয়ে যায়। একটি সময় গিয়ে আবার প্রেশার বেড়ে যায় বা রক্ত চাপ উচ্চ হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। উঠা নাম করার সময় খুব সাবধানতার সাথে চলা ফেরা করতে হয়। এইগুলি হচ্ছে ঘরোয়া ভাবে সাবধান থাকা বা শারীরিক চিকিৎসা ও বলতে পারেন প্রেশার লো হওয়ার ক্ষেত্রে।
এইবার আসি কিভাবে আরো কি কি করা যায় খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে। যেমন আপনি লবন জল পান করতে পারেন। কারণ সোডিয়াম আপনার রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন অতি মাত্রায় নই। এক গ্লাস জলে মাত্র অর্ধেক চা-চামচ পর্যন্ত বা তার ও কম লবন যোগ করে খেতে পারেন।
তারপর হলো কিশমিশ। কারণ এই কিশমিশ হলো ঐতিহ্যবাহী এই প্রেশারের একটি জন্যে বা হাইপোটেনশনের জন্যে চিকিৎসা। প্রতিদিন আপনি কয়েকটি কিশমিশ রাত্রে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেবন করতে পারেন। এটি আপনার প্রেশার লো হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গর্ভ অবস্থায় লো প্রেশার হলে করণীয় হিসেবে এর সাথে আপনি আরো অনেক কিছু খেতে পারেন যেমন আদা ,গাজরের রস (যাতে তাজা হয়), লেবু এবং বাদামের পেস্ট বা দুধ। আপনি গর্ভবস্থায় লো প্রেশার হলে করণীয় হিসেবে এই সমস্ত কাজ গুলি করতে পারেন ।
গর্ভাবস্থায় প্রেশার কত থাকা উচিত
একেক মেয়েদের একেক ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। মানে প্রেশার বিভিন্ন রকম হয়। কারো উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার আবার কারো লো প্রেশার তবে গর্ভবস্থায় প্রেশার ১১০/৭০ থাকা স্বাভাবিক। এর চেয়ে ও প্রেশার লো হলে উপরের এই " গর্ভাবস্থায় প্রেশার লো হলে করণীয় " বিষয়টা পড়ে আস্তে পারেন ।
প্রেশার লো হলে কি কি করনীয় এই নিয়ে শেষ কথা
প্রেশার লো হলে করণীয় কি ? এবং গর্ভবস্থায় প্রেশার লো হলে কি করতে হয় এই সব বিষয় নিয়ে উপরে অনেক কখন আলোচনা হয়েছে। আশা করি আপনাদের মনের সন্দেহ বা অনেক কিছু জানা হয়েছে এই সম্পর্কে। তার পর ও বলব খুব সাবধানে নিজের জীবনকে পরিচালিত করবেন। কারণ এই প্রেশার যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যে হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url