এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়


এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় - প্রায় সময় আমরা এই এলার্জি জনিত চুলকানি সমস্যা নিয়ে ভুগি। তারপ্রতিকার করার জন্যে আমরা হন্য হয়ে যায়। কিন্তু আমরা জানিনা যে এই এলার্জি চুলকানী কিভাবে সমাধান করবো। যেখানে যায় সেখানে এলার্জি রুগীরা চুলকায় ।

 


এই এলার্জি কোন মান সম্মান চিনে না। তাই আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যায় এই এলার্জি জাতীয় সমস্যা নিয়ে। কিভাবে তা সমাধান করবো এই নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। শুধু এলার্জি চুলকানী দূর করার ঘরোয়া উপায় ছাড়াও আরো কিছু বিষয় নিয়ে শেয়ার করব। যা আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা যেমন চুলকানি কি? কোনো হয়? 


কিভাবে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়, এমনকি বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বলার চেষ্টা করবো। সাথেই থাকবেন আশা করি আপনার মনের সংশয় দূর হবে।


চুলকানি কি ? কোনো হয় ? 

চুলকানি হলো এক প্রকার এলার্জি। যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন কারণে ঘটে থাকে। প্রুরিটাস কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চুলকানি বলে। এই চুলকানি হলে মানুষেরা যে জায়গায় হয় সেই জায়গায় সব সময় চুলকায়। 
চুলকানি হল এক জাতীয় ছত্রাক সংক্রমন। এলার্জি চুলকানি কেন হয় ? সেই কথা বলার চেষ্টা করবো । ফুলের রেণু, চিংড়ি, পশুর লোম, বিশেষ কোনও খাবার যেমন ডিম,  বেগুন, ধুলোবালি এই গুলির জন্যে মানুষের এলার্জি হয় 
চুলকানি হলে এদের দেখলে চেনা যায় খুব সহজে। সাধারণ ভাবে দেখলেও আপনি চিনতে পারবেন। যেমন চুলকানির জায়গা লাল হয়ে যায়, প্রদাহ , ফুলে যায় এবং ফোসকা ও পড়ে  যায় অনেক সময়। ছত্রাক সংক্রমনে ও চুলকানি হয়। 
আবার ত্বক শুষ্ক হলেও এলার্জি চুলকানি  হয়। তবে যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে তাদের চুলকানি বেশি থাকে। ভেজা ভাব বেশি হলেও চুলকানি হতে পারে। 

কিভাবে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ?

চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার মধ্যে অনেক রকম উপায় আছে। আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন সেবনে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে আমতা ঘরোয়া ভাবে কিভাবে এই এলার্জি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন তা নিয়ে আলোচনা করছি। 
এই ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে হচ্ছে  একটি পদ্বতি হচ্ছে। অ্যাপেল সাইডার  ভিনেগার। যে ভিনেগার  ভেজানো অ্যাপেলের রস থেকে তৈরি করা হয় । যা সালাদ এবং চাটনী তে ব্যবহৃত হয় ।  
এই উপাদানটি  আমরা ঘরোয়া ভাবে পেয়ে থাকি। অ্যাসেটিক অ্যাসিড থাকে এই অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে যা আমাদের চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে খুব উপকারী। 
আপনি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর এক কাপ জল একসাথে মিশ্রণ করে আপনার চুলকানির জায়গায় লাগাতে পারেন। এতে করে আপনি  চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। 

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়


এলার্জি বিষয়টা আমাদের মধ্যে সব সময় দেখা যায় অনেকের মধ্যে। যেমন যেখানে এলার্জি হয় এবং সেখানে যদি অনবরত চুলকায় তাতে আমাদের মধ্যে এক প্রকার অস্তিরতার সৃষ্টি হয়। 

কিন্তু এই এলার্জির অনেক উপাদান আমরা ঘরের মধ্যে পায় কিন্তু তা অনেকে জানি না।
হাতের নাগালে এই সমস্ত উপাদান থাকে আমাদের কাছে। তারমধ্যে হলো নারিকেল তেল, কর্পূর এবং ফিটকিরি। 

এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়


এসব নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি হলো এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়। যে জায়গায় আপনার চুলকানি হয়েছে সেখানে নারিকেল তেল এবং কাপুর মিশিয়ে লাগাতে পারেন এবং লাগানোর বেশ কিছুক্ষন পর ফিটকিরির জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

এইভাবে কিছুদিন ব্যবহারের পর দেখবেন আপনার এলার্জি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। এই ঘরোয়া উপায়ে আপনি এলার্জি চুলকানি দূর করতে পারবেন। 

রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়


রক্তের এলার্জি প্রায় মানুষের মধ্যে দেখা যায়। রক্ত থেকে থেকে এই এলার্জি তৈরী হয় বলে তাকে রক্তের এলার্জি বলে। এটি রক্তে ইসিনোফিল সহ রক্তের কণিকা গুলি যেমন স্বেত এবং লোহিত রক্ত কণিকা থেকে উৎপন্ন হয় এই এলার্জি। 

তবে এটি প্রথমে হয়তো একটু বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে। অতিমাত্রায় রূপ নিলে তখন অবশ্যই তাৎক্ষণিক আপনাকে যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে স্থায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। 
 
তবে প্রাথমিক পর্যায় এবং তার চেয়ে একটু মাঝারি ভাবে রক্তের এলার্জির ঘরোয়া ভাবে আপনি চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। দেখা যাক কিভাবে আমরা এই রক্তের এলার্জির প্রাথমিক সমস্যা সমাধান করতে পারি। 

একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আবার পুনরাবৃত্তি করা দরকার যে এই পদ্বতিগুলি শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের জন্যে ধারণা দেওয়া। অতি মাত্রায় রূপ নিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন ।

কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার


হিস্টামিন বেশি নিঃসরণ হলে রক্তের এলার্জি হয়ে থাকে। কিন্তু কোয়ারসেটিন সমৃদ্ব খাবার খেলে

আপনি এই হিস্টামিন আবার ফিরে পাবেন। তাই কোয়ারসেটিন সমৃদ্ব খাবার গুলি নিয়মিত খান
যেমন আপেল, সাইট্রাস এবং পেঁয়াজ, লাল শালগম, লাল মুলা, 


লাল বাধাকপি, চেরি, স্ট্রবেরি, ক্রেনবেরি ও লাল আঙুরে এইগুলির মধ্যে কোয়ারসেটিন রয়েছে।

এই ঘরোয়া উপায়ে আপনি চাইলে আপনি রক্তের এলার্জি দূর করতে পারেন।


হলুদ এবং মধু


হলুদ হলো অতি প্ৰয়োজনীয় এবং বহুগুনে গুণান্বিত একটি মসলা। এবং মধু হলো প্রাকৃতিক উপায়েপাওয়া একটি মানুষের জীবনের জন্যে আশীর্বাদ। 

এই রক্তের এলার্জির জন্যে এক চা চামচ হলুদ এবং এক টেবিল চামচ মধু এক সাথে মিশিয়ে
পরদিন খেতে পারেন। সম্ভাব্য প্রতিকার পাওয়ার নিমিত্বে।


প্রোবায়োটিকস


প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ব খাবার আপনার সমস্যার জন্যে প্ৰয়োজনীয় ঘরোয়া উপায়।  প্রোবায়োটিকস
খাবার গুলি হলো দই ,কেফির ,কম্বুচা, নারকেল কেফির, নাট্টো, ইডলি আর দোসা। এইগুলি আপনার
রক্তে এলার্জি র জন্যে খুব উপকারী এবং ঘরোয়া সম্ভাব্য প্রতিকার।

আর ও পড়ুন ঃ

বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়


বড়দের এলার্জি হলে মুখে বলা যায় বা অনুভূতি প্ৰকাশ করা যায় কিন্তু বাচ্চাদের এলার্জি হলে সহজে তারা প্রকাশ করতে পারে না বলেই বিপত্ত্বি ঘটে। 


ছোট বাচ্চাদের এলার্জি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। অনাকাঙ্কিত এই বাচ্চাদের এই এলার্জির জনিত কারণ দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় আমরা লিস্ট আকারে বলার চেষ্টা করছি। 


  • ধুলা-বালিতে যেন আপনার বাচ্চা না যায় সেইদিকে লক্ষ্য রাখুন 
  • জীব জন্তুর আশেপাশে তাকে না যেতে দেয়াই ভালো।
  • ঘরে কোন ধরনের ক্যামিক্যাল জাতীয় স্প্রে ব্যবহার থেকে সাবধান থাকুন। এতে করে আপনার বাচ্চার এলার্জি দূর করতে পারবেন। 
  • যেন কোনাভাবেই আক্রান্ত স্থানে চুলকাতে না পারে। 
  • অতি ক্ষার জাতীয় সাবান ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন। ক্ষার জাতীয় সবার বাচ্চাদের শুস্ক করার ক্ষেত্রে দায়ী। 
  • কুকুর এবং গৃহপালিত পশু পাখি থেকে দূরে রাখুন। কারণ এদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখলে এলার্জি দূর করা সম্ভব। 
  • নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনেক বাচ্চাদের ত্বক শুষ্ক থাকে। নারিকেল তেল শুষ্ক ত্বকের জন্যে খুব ভাল কাজ করে। 
  • সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করুন। কারণ ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে তুলতে এই সূর্যমুখী তেল খুব উপকারী।
  • ছয় বছর ব্যাপী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
  • যে খাবার আপনার বাচ্চার এলার্জি তৈরী করবে বলে মনে হয়। সেই খাবার এখনি বাদ দিন।  

শেষ কথা


এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি এবং চুলকানি কি ? কেন হয় ও সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। চেষ্টা করেছি আপনারকে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার। 

আশা করি এই এলার্জি চুলকানি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দূর করবেন এই নিয়ে আর তেমন কোনো প্রশ্ন থাকার বা সংশয় থাকার কথা নই। তবে একটি কথা বিশেষ করে বলব  উপরে বর্ণিত সব তথ্য কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের জন্যে।

 বা তার পরের স্টেপ মাঝারি ধরণের চুলকানি বা এলার্জি নিয়ে ঘরোয়া ভাবে দূর করার কথা বলা হয়েছে। তবে মাত্রা অতিরিক্ত যদি এলার্জি চুলকানি হয় তাহলে অবশ্যই চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিবেন। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। এলার্জি মুক্ত জীবন কাটাবেন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪