ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - আসসালামুআলাইকুম কেমন আছেন ? আশা করি ভালো আছেন। নিশ্চয় আপনার ব্লগিং সম্পর্কে আগ্রহ হয়েছে তাই এই নিবন্ধে এসেছেন। । এই ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? নিশ্চয় এই প্রশ্ন আপনাকে আহত করেছে হয়ত অনেকবার। ব্লগিং করে অনেকেই সাবলম্বী হচ্ছে দিন দিন। আপনি ও মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করেছেন বহুদিন, হবেন আপনি ও একজন ব্লগার ।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

পোস্টসূচীপত্র কিন্তু কি মনের স্বাদ সহজে পূরণ হয়। মনের স্বাদ পূরণ করার জন্যে সঠিক পথে,সঠিক মতে  আপনাকে চলতে হবে সেই সাথে থাকতে হবে দৈর্য। কারণ এটি ছাড়া (ধৈর্য )ছাড়া যে, কোনো গতি নেই। এই পথটিতে আছে বাধা , বিপত্তি কত রকম বিষাদ। কিন্তু আপনি যদি স্থিরতার দ্বারা আমাদের পথ অবলম্ভন করেন তাহলে আর কোনো ভয় নেই। 


আজকে আমরা সেই মতে ব্লগিং কি ? কেন? কিভাবে ? এই সেক্টরে গুলি সম্পর্কে আলোচনা করবো এবং আপনার কিভাবে একজন দক্ষ ব্লগার হওয়ার জন্যে ইচ্ছা জাগতে পারে এই সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে হাঁটি। আলোচনা করে করে। আলোচনার পথে হাটতে হাটতে পৌঁছে যাব ব্লগিং করে টাকা কিভাবে আয় করা যায় সেই পথে। 

ব্লগিং কি 


ব্লগ মানে হল একজন লেখক তার নিজস্ব কথা ব্লগ আকারে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। বা তিনিই ব্লগার। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জ্ঞান অন্যকে জানানোর শেখানোর মানসিকতা নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেন বা দিতে পারেন।


তাহলে ওই লিখার মাজে মানুষ যদি পড়ে বা শিখতে পারেন তাহলে তার বিনিময়ে আপনি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন রেভিনিউর মাধ্যমে। 


আর এইটাকে ই বলে ব্লগিং। যা বিজ্ঞবেক্তিরা  বই লিখার মাধ্যমে সনাতন পদ্বতিতে করতেন সেই মাধ্যমটি এখন অনলাইনে রূপান্তরিত হয়েছে তাই তাকে ব্লগিং। অনলাইন এই ব্লগিং খুব সহজ একটি মাধ্যম। আপনি ও চাইলে খুব সহজে এই মাধ্যম বা ব্লগিং কে পুঁজি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।  

ব্লগিং কেন করবেন


ব্লগিং কেন করবেন এই কথার ভিত্তি হচ্ছে। ব্লগিং একটি দীর্ঘমেয়াদি আয় করার পন্থা। এই ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি একটি পেসিভ ইনকাম করতে পারবেন। যার দরুন আপনার ভবিষ্যতে আর কোনো চিন্তা আপনাকে অর্থের জন্যে করতে হবে না ।


ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়


ব্লগিং একদম স্বাধীন একটি পেশা আপনার নিজের মতো করে লিখবেন। কোনো বাধা বিপত্তি বা কোনো ধরনের সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হবে না। সম্পূর্ণ নিজের জ্ঞানকে লিখার মাধ্যমে অপরকে জানিয়ে দেবেন। এবং সেই জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে আপনি রেভিনিউ অর্জন করতে পারবেন। 

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় 


ব্লগিং শুরু করার জন্যে অনেক কিছু মাধ্যম আছে। আগে বলে নিই। আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানেন নিজের চিন্তা শক্তির উপর ভর করে তার উপর আপনাকে ভালভাবে লিখতে জানতে হবে বা আগের অভিজ্ঞতার বিশেষ প্ৰয়োজন।  এই ব্লগিং শুরু করার জন্যে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে  যেমন 


ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

  1. আপনার একটি কম্পিউটার /লেপটপ লাগবে তাতে আবার ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে । 
  2. ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে বিশ্বস্ত কোনো কোম্পানি থেকে । 
  3. একটি থিম কিনতে হবে ওই ওয়েবসাইটের জন্যে । 
  4. ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার দিয়ে একটি পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে হবে কোনো ডেভেলপার দ্বারা । 
  5. এবার ওয়েবসাইট হয়ে গেলে ব্লগিং শুরু করুন । 

মনে রাখেন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনি লেখালেখি শুরু করলে বেশি ফল পাবেন। তার মানে হলো যেকোন একটি বিষয়ের উপর আপনাকে লিখতে হবে ।


আরও পড়ুন ঃ

অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায়

ব্লগার কত টাকা আয় করে ?


একজন ব্লগার কত টাকা আয় করে তার হিসেবে করার আগে চিন্তা করতে হবে। 

একটি ব্লগ পোস্ট কতজনের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে বা কতজন ভিজিটর আপনার ব্লগটিতে প্রবেশ করেছে। তাহলে সেই হিসেবে আপনার টাকা আয় করা ও বৃদ্বি পাবে। 


একজন ব্লগারের অনেক টাকা আয় করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রথম ৩ হতে চার্ মাস আপনাকে খুব সময় দিয়ে ভালোবেসে ব্লগ লিখতে হবে। প্রথম ইনকাম শুরু হতে হতে মিনিমাম ৫ বা ৬ মাস লেগে যেতে পারে।


একজন ব্লগার প্রথম বছরে বাংলা ব্লগিং করে  $৮০০ হতে $১০০০ হাজার ডলার ইনকাম করে। সেই হিসেবে ইংরেজি ব্লগিং থেকে ইনকাম করে হচ্ছে  $২০০০ হতে $২৫০০ ডলার পর্যন্ত। দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় বাংলা ব্লগিংএ $১৫০০ হতে $২০০০ পর্যন্ত আর ইংরেজিতে $৬০০০ হতে $৯০০০ ডলারে।


এইভাবে ব্লগারদের ইনকাম দিন দিন বেড়ে যায়। একসময় দেখা যায় লক্ষ লক্ষ্য ডলার তারা ইনকাম করে থাকেন। তবে বাংলা ব্লগিং থেকে ইংলিশ ব্লগিং এ অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আর এই ব্লগিং করে অনেক উপায়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এইটা শুধু এড রেভিনিউ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে মাত্র। 

ব্লগ ট্রাফিক সমান রেভিনিউ


একটি ব্লগ থেকে কত টাকা রেভিনিউ ইনকাম করা যাই। সেই হিসেবে আপনার ব্লগ পোস্টের গ্রহণযোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অনেক সময় আপনার ব্লগ সাইটের যদি সার্চ ভলিউম বেড়ে যায় সেই হিসেবে আপনার রেভিনিউ বেড়ে যাবে। 


যেমন আপনার ব্লগপোস্টে যদি মাসে $১০০ থেকে $১৫০ ডলার ইনকাম হয় সেই হিসেবে আপনার পেজ ভিউ দরকার হবে ১০০০ ভিজিটর প্রতিদিন। তবে এই সঠিক হবে এমন কোনো কথা নেই হয়ত কারো দক্ষতার গুনে তার ভিজিটর বেশি সেই হিসেবে তার ইনকাম ও বেশি হবে তবে যত পেজ ভিউ বেশি হবে তার সিপিসি ও বৃদ্বি পাবে। 


আবার আপনার পেইজে যদি প্রতিমাসে পেইজ ভিউ ১লক্ষে গিয়ে ঠেকে তাহলে আপনার ইনাকাম কিন্ত $১০০০ হতে $২৫০০ ডলার হতে পারে। তবে এড রেভিনিউ পার পেজ এ $০.০২ সেন্ট বা $০.০৫ সেন্ট হয়ে থাকে। এইটাও ফিক্স নই। অনেকক্ষেত্রে কম বেশি হয়ে থাকে।  

ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কী টাকা ইনভেস্ট করতে হয় ?


ব্লগ থেকে আয় করার জন্যে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তার কারণ হচ্ছে আপনি যখন ব্লগিং করবেন। তখন আপনার থেকে নিশ্চয় একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আপনার একটি একটি ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। 

এবং তার জন্যে একটি থিম নির্বাচন করতে হবে। আবার সেইটা ডিজাইন করার জন্যে একজন ডেভেলপার ঠিক করতে হবে । 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

এই সব কিছুর পর আপনাকে ব্লগ পোস্ট করতে হবে। এবং আপনি যদি এস ই ও (ডিজিটাল মার্কেটিং) না জানেন তাহলে একজন এস ই ও এক্সপার্ট ঠিক করতে হবে। যারা আপনার ব্লগ পোস্ট গুলি গুগলে রেঙ্ক করতে পারে। 


এইভাবে আপনার অন্তত ১ লক্ষ্য টাকা বা তার বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আবার এর চেয়ে কম টাকা দিয়ে ও আপনি ব্লগ সাইট রেডি করতে পারেন। এর বেসিক কিছু কিছু বিষয় আপনি ইউটিউব থেকে শিখে সময় দিয়ে করতে পারেন। কম টাকা ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে।

ব্লগিং থেকে আয় শুরু হতে কত দিন সময় লাগে


ব্লগ থেকে আয় শুরু হতে অনেকদিন সময় লাগে। যেমন ধরুন আপনি একটি গাছ লাগলেন আজকে। সেটি থেকে যেমন পরের দিন থেকে ফল পাবেন না। ঠিক তেমন ভাবে ব্লগ আজ থেকে শুরু করলে ও টাকা যায় করতে পারবেন না। 


কারণ ওই যে গাছ লাগিয়েছেন সেটা কে আপনি পরিচর্যা করতে হবে খুব যত্ন করতে হবে। তাহলেই আপনি এই গাছ থেকে একদিন ফল পাবেন। ব্লগিং ও ঠিক একই প্রকার। 


আপনি মন দিয়ে কাজ করলে বা ব্লগ সাইট তৈরী করে পোস্ট পাবলিশ করলে সেই ব্লগ সাইট থেকে অন্তত ৩,৪ মাস বা তার ও বেশি ৫,৬ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। 


তবে ব্লগিং থেকে যায় আপনার কাজের উপর এবং আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করবে।কারণ এখানে একটি ব্লগ লিখার জন্যে আপনাকে কিওয়ার্ড রিচার্জে সময় দিতে হবে। তারপর কিওয়ার্ড কম্পিটিশন এবং এনালাইসিস করতে হবে এর পর আরো কিছু কাজ আছে। 


যেমন সার্চ কনসোলে এড করতে হবে এইসব কাজ গুলি আপনাকে শেষ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন আপনার ব্লগ পোস্টগুলি যেন একদম ইউনিক কন্টেন্ট হয়। কারণ গুগল কোনো কপি কন্টেন্ট একসেপ্ট করে না। 


এই সব বিষয় গুলি মাথায় রেখে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে এইগুলি না করলে আপনি ব্লগিং করে টাকা আয় করা পর্যন্ত যেতে পারবেন না। তবে এইগুলি সব পরিপূর্ণ ভাবে করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি অনলাইন থেকে ব্লগিং করে যায় করতে পারবেন। 

পরিশেষে

অনলাইন থেকে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। সে সম্পর্কে অনেক কথা বলার চেষ্টা করেছি। উপরুক্ত বিষয়গুলি খুব যত্ন সহকারে পালন করলে বা সাজাতে পারলে অবশ্যই আপনি ব্লগিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


কারণ এই ব্লগিঙের ভবিষ্যৎ খুব সুন্দর এবং পরিমার্জিত। যা আপনার জীবনকে ও সুন্দর করে তুলবে বলে আশা করি। তাই ভালো থাকবেন। ভালো রাখবেন, মানুষেক সহযোগিতা করবেন। আর নিজের খেয়াল রাখবেন। 

Blogger.com

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪